logo

FX.co ★ ২১ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

২১ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

২১ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

শুক্রবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। অবশেষে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ মার্কেটকে শান্ত করতে ভূমিকা পালন করেছে, জানিয়েছে যে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা নেই এবং তারা সুদের হার কমানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কোনো পরিকল্পনা করছে না। উপরন্তু, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধির কারণে নিকট ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। এই দুটি বিষয় ইঙ্গিত দেয় যে ফেড মুদ্রানীতিমালা শিথিল করার বিষয়ে তাড়াহুড়ো করবে না। এর ফলে, মার্কিন ডলার অবশেষে কিছুটা সমর্থন পেয়েছে এবং এখন অন্তত কিছুটা শক্তিশালী হতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

২১ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ক্যালেন্ডারেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। গতকাল ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড বেশ "প্রো-হকিশ" অবস্থান গ্রহণ করেছে, তাই ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে। তবুও, পাউন্ডের আরও দরপতন ঘটাতে পারে, কারণ গত কয়েক সপ্তাহে কোনো কারেকশন ঘটেনি। ফেডারেল রিজার্ভও হকিশ বা কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে, তাই মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। সেইসাথে, পাউন্ডের মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে নেমে গেছে, ঠিক যেমন ইউরোর মূল্যও নেমে গেছে।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের (EUR/USD এবং GBP/USD) বহুল-প্রতীক্ষিত দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যই অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে নেমে গেছে এবং ফেডের নীতিগত অবস্থান মার্কিন ডলারকে কিছুটা অযথাভাবে হারানো শক্তি পুনরুদ্ধারের সুযোগ দিচ্ছে। অবশ্যই, কেউ জানে না ট্রাম্প কবে আবার নতুন করে বাণিজ্য শুল্কের ঘোষণা দেবেন, তবে এমন পদক্ষেপগুলো চিরকাল ডলারের বিক্রি ঘটিয়ে যেতে পারবে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

আরো দেখুন: InstaForex is one of the leaders in the Forex market, 12 years on the market, more than 7,000,000 active clients

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account