logo

FX.co ★ ২১ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

২১ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২১ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যও নিম্নমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, তবে EUR/USD পেয়ারের বিপরীতে, বুধবার সন্ধ্যায় পাউন্ডের মূল্য স্থিরভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বারবার আমরা দেখছি যে ব্রিটিশ পাউন্ড ডলারের বিপরীতে চমৎকার স্থিতিশীলতা দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের অবস্থানের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়, যারা সদ্য বছরের দ্বিতীয় নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত বৈঠক শেষ করেছে।

মনে করিয়ে দিই, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড শুরুতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তুলনায় অপেক্ষাকৃত হকিশ বা কঠোর অবস্থান নিয়েছিল, কিন্তু ফেডারেল রিজার্ভের তুলনায় কম হকিশ বা কঠোর ছিল। এটি যৌক্তিক: ইউরো সাধারণত আরও তীব্র দরপতনের শিকার হয় (যদি দরপতন হয়), অন্যদিকে পাউন্ডের মূল্য অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল থাকে। অবশ্যই, আমাদের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হিসাবের মধ্যে রাখতে হবে, যার সাম্প্রতিক কার্যক্রম ডলারের মূল্যকে তীব্রভাবে নিম্নমুখী করে দিয়েছে। তবে এই বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, এবং আমরা অনুমান করতে পারি না ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে বা মার্কেটের ট্রেডাররা কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, ডলারের খুব বেশি দরপতন হয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২১ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৫-মিনিটের চার্টে, বৃহস্পতিবার একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে, মূল্য 1.2980–1.2993 জোনের নিচে কনসোলিডেট করেছিল, তবে এই পেয়ারের মূল্য স্পষ্টভাবে নিম্নমুখী মুভমেন্ট ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় এবং 1.2913 এবং 1.2980 এর মধ্যে আটকে যায়। তবুও, নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন থেকে লাভ করতে পারতেন, কারণ কোনো বাই সিগন্যাল গঠিত হয়নি এবং ট্রেডটি উল্লিখিত রেঞ্জের যেকোনো জায়গায় ক্লোজ করা যেত।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, এখনো পর্যন্ত GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণবতা শুরু হয়ে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ট্রাম্প তা হতে দিচ্ছেন না। আমরা এখনো মধ্যমেয়াদে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, তবে ট্রাম্পের কারণে ডলার কতদিন দুর্বল হবে তা অনিশ্চিত। একবার এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। আপাতত, দীর্ঘমেয়াদে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ভিত্তিহীন নয়, তবে এটি অত্যধিক শক্তিশালী এবং অযৌক্তিক।

শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা আর ডলার বিক্রির জন্য কোনো কারণের অপেক্ষা করছে না। তবে, এখন আমরা মূলত নিম্নমুখী কারেকশন প্রত্যাশা করছি।

আরো দেখুন: Start Forex trading with a European level broker!

৫-মিনিটের চার্টে দৈনিক ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলসমূহ হলো: 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107। শুক্রবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই আজ অনেকটা অর্ধ-দিবস ছুটির দিনের মতো মনে হতে পারে। পাউন্ডের মূল্য এখনো পর্যন্ত স্পষ্টভাবে অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচের অংশ ব্রেক করেনি, তবে টেকনিক্যাল ভিত্তিতে দরপতনের সম্ভাবনা বিদ্যমান।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account