logo

FX.co ★ ২০ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

২০ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

২০ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যা মূলত যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত হবে। প্রধান প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের বেকারত্বের হার, বেকার জনগণের সংখ্যার পরিবর্তন এবং গড় মজুরি। আমরা এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করছি না, কারণ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল এবং অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য ঘোষণা করা হবে। তা সত্ত্বেও, আজ পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। আজ ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুধুমাত্র স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সম্ভবত যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনগুলোর কারণে মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

২০ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মূল সুদের হার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে বেইলি প্রেস কনফারেন্সের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারেন। এটি মনে রাখা জরুরি যে, যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, ঠিক যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যাচ্ছে, তবে যুক্তরাজ্য আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, কারণ দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়েছে। তাই, বেইলি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মুদ্রানীতি শিথিল করার অভিপ্রায় প্রকাশ করতে পারেন। তবে এটি নিশ্চিত নয়, কারণ উদাহরণস্বরূপ, ফেডারেল রিজার্ভ বর্তমানে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মনোনিবেশ করেছে।

উপসংহার:

সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগ দ্বারা ট্রেডিং করা হচ্ছে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিগুলোর প্রভাবে। ফেডারেল রিজার্ভের সাম্প্রতিক বৈঠকের ফলাফল মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি; যদিও ডলার সামান্য দুর্বল হয়েছে, তবে বৈঠকের আগে থেকেই এটির মূল্য কয়েক দিন ধরে নিম্নমুখী ছিল। আসন্ন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক মার্কেটকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে এই ইভেন্টের প্রভাব ছাড়াও ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকতে পারে। যদি মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে স্থায়ীভাবে নেমে যায়, তাহলে এটি বহু প্রতীক্ষিত নিম্নমুখী কারেকশনের সংকেত হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

আরো দেখুন: InstaForex is one of the leaders in the Forex market, 12 years on the market, more than 7,000,000 active clients

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account