তেলের দাম সেপ্টেম্বর ২০২৪-এর পর সর্বনিম্ন লেভেল থেকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।
তবে, স্বল্পমেয়াদে এই রিবাউন্ড দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিনিয়োগকারীরা এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব এবং এর ফলে জ্বালানির চাহিদার উপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। একইসাথে, OPEC+ এপ্রিল থেকে তেল উৎপাদন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছে, যা অপরিশোধিত তেলের দামের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করছে।
তবে, তেলের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা সীমিত হতে পারে, কারণ ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের শর্তে রাশিয়ার জ্বালানি খাতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এটি মার্কেটে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, যা তেলের দামকে প্রভাবিত করছে।
এছাড়া, শুক্রবার প্রকাশিত প্রত্যাশার তুলনায় মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভের একাধিক সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা আরও দৃঢ় করেছে। এর ফলে মার্কিন ডলারের দর নভেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন লেভেলের কাছাকাছি অবস্থান করছে, যা ডলারভিত্তিক কমোডিটিগুলোর জন্য সহায়ক হতে পারে এবং অপরিশোধিত তেলের দরপতন সীমিত রাখতে পারে।
বাজার পরিস্থিতি
সামগ্রিকভাবে, তেলের বাজার এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে, এবং বিনিয়োগকারীদের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত তথ্য এবং রাজনৈতিক সংবাদ সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ
তেলের সাম্প্রতিক দরপতনের পর, ট্রেডারদের লক্ষ্য করা উচিত যে RSI (রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স) ওভারসোল্ড জোনের কাছাকাছি রয়েছে, এবং MACD ইনডিকেটরের নিম্নমুখী প্রবণতা থেমেছে কিনা। এই সংকেতগুলো বিবেচনায়, নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং এর পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদী কনসোলিডেশন বা সাময়িক রিবাউন্ডের জন্য অপেক্ষা করা উচিত, তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।