logo

FX.co ★ ৪ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

৪ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

৪ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের বেকারত্বের হার প্রকাশ করা হবে। তবে, এই প্রতিবেদনের ফলাফল সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হারের মতো ট্রেডারদের ওপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলে না, তাই সম্ভাব্যভাবে ট্রেডাররা এটিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করতে পারে। এছাড়াও, আজ জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

৪ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

যদিও মঙ্গলবার উল্লেখযোগ্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন একটি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। সোমবার, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিবৃতি দেবেন, যা সন্ধ্যার দিকে মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। গত পরশু, হোয়াইট হাউসে ঘটে যাওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর ডলারের তীব্র দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। পরে, ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান করা বন্ধ করবে এবং চীনের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করবে। এই পরিস্থিতির আলোকে, যদি মার্কিন ডলার আজ থেকে পুনরায় শক্তিশালী হতে শুরু করে, তবে এটি আশ্চর্যের কিছু হবে না। তবে, ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত নীতিগুলোর কারণে ট্রেডাররা ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় থাকতে পারেন।

উপসংহার:

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগপ্রবণ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ। ইউরো, পাউন্ড এবং ডলারের ক্ষেত্রে শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ট্রেডাররা এই সিদ্ধান্তগুলোকে কীভাবে ব্যাখ্যা করে সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সৃষ্ট মতবিরোধ মার্কেটে ডলার বিক্রির সরাসরি কারণ ছিল বলে মনে হয় না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

আরো দেখুন: InstaForex is one of the leaders in the Forex market, 12 years on the market, more than 7,000,000 active clients

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শুন পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account