logo

FX.co ★ ১৯ ফেব্রুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

১৯ ফেব্রুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৯ ফেব্রুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো GBP/USD পেয়ারের মূল্য স্থিতিশীল ছিল। বর্তমানে মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা ন্যূনতম অবস্থায় রয়েছে, যা পাউন্ডের মূল্যের উল্লেখযোগ্য কোনো দিকনির্দেশনামূলক মুভমেন্টকে বাধাগ্রস্ত করছে। যদিও ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্বল্পমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো বজায় রয়েছে, তবে পাউন্ডের আরও মূল্য বৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী মৌলিক কারণ অনুপস্থিত। সামগ্রিকভাবে, এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি কারেকশনের অংশ বলে মনে হচ্ছে।

গতকাল, ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রয়ের জন্য আনুষ্ঠানিক কারণ ছিল। যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার সম্পর্কিত প্রতিবেদনের ফলাফল শুধুমাত্র "প্রত্যাশার তুলনায়ই ভালো" ছিল না, বরং "ব্রিটিশ কারেন্সির জন্যও ইতিবাচক" ছিল। পূর্বাভাসের বিপরীতে বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত ছিল এবং মজুরি বৃদ্ধির হারও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ২০২৫ সালে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি নমনীয় করার গতি কিছুটা ধীর হতে পারে। তবে, এখনো এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী কারণ অনুপস্থিত।

আজ, এক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৯ ফেব্রুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার, ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.2613 লেভেলের কাছাকাছি দুটি তুলনামূলকভাবে দুর্বল সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। নতুন ট্রেডাররা এই সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেড ওপেন করতে পারতেন, তবে উভয় ক্ষেত্রেই খুবই কম নিম্নমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যা সারাদিনের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। তবুও, এই পেয়ারের মূল্য কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে, ফলে এসব ট্রেড থেকে কোনো লোকসান হয়নি।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। তবে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই পেয়ারের মূল্যের সকল মুভমেন্ট দৈনিক টাইমফ্রেমের কারেকশনের অংশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। মধ্য-মেয়াদে, আমরা 1.1800 লেভেলের দিকে GBP/USD পেয়ারের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যা আমাদের মতে সবচেয়ে যৌক্তিক পরিস্থিতি। এখন শুধুমাত্র দৈনিক টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

ছয় দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে মূল্য বৃদ্ধির পর এবং টানা দুই দিন স্থিতিশীল থাকার পর বুধবার নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। তবে, স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো বহাল রয়েছে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হল: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798।

বুধবার প্রকাশিতব্য যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন মার্কেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সন্ধ্যায় বিল্ডিং পারমিট সম্পর্কিত প্রতিবেদন এবং FOMC-এর বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, তবে এসব ইভেন্ট তুলনামূলকভাবে গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন এবং মার্কেটে কম প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

আরো দেখুন: InstaForex is one of the leaders in the Forex market, 12 years on the market, more than 7,000,000 active clients

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account