logo

FX.co ★ ১৮ ফেব্রুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

১৮ ফেব্রুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৮ ফেব্রুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবার, পাঁচ দিন ধরে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য নিম্নমুখী কারেকশন হয়েছে। তবে, মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত কম ছিল এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ এই মুভমেন্টকে প্রভাবিত করেনি। সেইসাথে অর্থবাজারে বা বৈশ্বিক পর্যায়ে কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় পর্যায়ে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও বজায় রয়েছে, যা অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের মাধ্যমে স্পষ্ট বোঝা যায়। তবে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে পরিলক্ষিত প্রবণতার পরিবর্তন আসলে দৈনিক টাইমফ্রেমের বৃহত্তর ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অংশ, যা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। যদিও এই কারেকশন কখন শেষ হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন, তবে ট্রেডারদের বৈশ্বিক পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।

বর্তমানে, দীর্ঘমেয়াদে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য কোনো শক্তিশালী মৌলিক ভিত্তি নেই। সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুধুমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন বলে মনে হচ্ছে, যা মার্কেটের গতিশীলতার স্বাভাবিক অংশ হিসেবে ঘটেছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৮ ফেব্রুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে সোমবার কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে এবং মূল্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাছাকাছি যায়নি। এমন কম অস্থিরতার মধ্যে, নতুন ট্রেডারদের জন্য মার্কেটে এন্ট্রি করা উপযুক্ত হতো না।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও সামগ্রিকভাবে মাঝারি-মেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, যদিও স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সমর্থন করছে, ফলে আমরা দীর্ঘমেয়াদে ইউরোর দরপতনের প্রত্যাশা করছি। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে চলমান ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে।

মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অস্থির, অসংগতিপূর্ণ এবং দুর্বল হতে পারে। দৈনিক টাইমফ্রেমে কারেকশনের প্রয়োজনীয়তার কারণে মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী থাকার প্রবণতা দেখা যেতে পারে, তবে পুনরায় নিম্নমুখী মুভমেন্ট ও কারেকশনের অংশ হিসেবে দরপতনের সম্ভাবনাও বিদ্যমান।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলসমূহ হচ্ছে: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851।

আরো দেখুন: You can open a trading account here

মঙ্গলবার ইউরোজোনে ZEW ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট সূচক প্রকাশিত হবে, তবে এটি ট্রেডারদের উল্লেখযোগ্য আগ্রহ আকর্ষণ করবে বলে মনে হয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, যার ফলে আজকের ট্রেডিং সেশনও তুলনামূলকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের শান্ত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account