logo

FX.co ★ ৩০ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

৩০ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

৩০ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে নির্ধারিত রয়েছে। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানি, ইউরোজোন, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় ট্রেডাররা বুধবারের FOMC-এর বৈঠক এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বৈঠকের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। ফলে, এই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের কারণে কিছুটা গুরুত্ব হারাতে পারে। এছাড়াও, ইইউ-এর বেকারত্ব হার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন আজ ট্রেডারদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

৩০ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বুধবার, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য মার্কেটে তেমন শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি, তবে তার মাঝারি হকিশ বা কঠোর অবস্থান ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার কারণ হিসেবে কাজ করছে। যদি আজ ইসিবি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান বজায় রাখে, তাহলে মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। লাগার্ড এবং তার সহকর্মীরা নিয়মিতভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ইসিবি মুদ্রানীতিকে আরও শিথিল করতে প্রস্তুত, তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বড় কোনো চমকের আশা করা হচ্ছে না। তবে, মার্কেটে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি অনুঘটকের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়াও, জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থার নিশ্চিতকরণ প্রদান করতে পারে, এদিকে ইউরোজোনের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।

উপসংহার:

বৃহস্পতিবার মার্কেটে বেশ অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। যদিও FOMC-এর বৈঠকের পর মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং ইসিবির কাছ থেকেও বড় কোনো চমকের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না, তবুও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট মার্কেটে উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি কোনো নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ছাড়াই এই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যেঁতে পারে। ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া মূলত উপলব্ধ তথ্যের ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করবে। মাঝারি মেয়াদে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হতে পারে, তবে সামনের কয়েক দিন নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাই বেশি।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

আরো দেখুন: Start Forex trading with a European level broker!

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account