logo

FX.co ★ ৩০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৩০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৩০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবার, GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুবই ধীরগতির মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, কারণ ট্রেডাররা জেরোম পাওয়েলের সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত মন্তব্যের ব্যাপারে সতর্ক ছিল। তবে, পাওয়েল মূলত তার পূর্ববর্তী বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি করেছেন। প্রধান পার্থক্য ছিল যে ফেডারেল রিজার্ভ এখন মুদ্রাস্ফীতিকে "মাঝারি মাত্রায় উচ্চ" হিসেবে বর্ণনা করছে, যা ২০২৫ সালে ০.৫%-এর বেশি সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে আরও কমিয়ে দেয়। আমরা মনে করি যে ফেডের বৈঠকের ফলাফলকে "মাঝারিভাবে হকিশ বা কঠোর" হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এটি মোটামুটি উপেক্ষা করেছে। পাউন্ড স্টার্লিং এখনো অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইনের অনেক উপরে ট্রেড করছে, যা এই ইঙ্গিত দেয় যে এখনই দরপতনের জন্য কোনো তাৎক্ষণিক কারণ নেই। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ইউরো এবং পাউন্ড ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত, এবং ইউরো ইতোমধ্যেই ট্রেন্ড লাইনের নিচে কনসোলিডেট করেছে। এই পরিস্থিতি দুটি সম্ভাবনা সৃষ্টি করে: হয় পাউন্ডের মূল্য ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করবে, অথবা ইউরোর মূল্যের ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউটটি ভুল প্রমাণিত হবে। আজ বেশ কয়েকটি মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে, যা দৈনিক মুভমেন্ট এবং সার্বিক পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করতে সহায়তা করতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৩০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবার, 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, কারেন্সি পেয়ারটি 1.2445 লেভেলের কাছাকাছি দুটি সেল সিগন্যাল গঠন করেছিল। প্রথম রিবাউন্ডটি ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় ঘটেছিল, যখন দ্বিতীয় সিগন্যালটি পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলনের সময় পাওয়া গিয়েছিল। দ্বিতীয় সিগন্যালের ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া খুব বেশি লাভজনক ছিল না, কারণ মূল্য যেকোনো দিকেই তীব্রভাবে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারত। তবে, প্রথম সিগন্যালটি কার্যকর ছিল, যেখানে মূল্য প্রায় নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.2387-এ পৌঁছেছিল।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্প-মেয়াদে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যা আমরা কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করছি। মাঝারি মেয়াদে, আমরা পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যার লক্ষ্যমাত্রা 1.1800, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। এখন আমরা সেই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছি, যখন নিম্নমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হবে, এবং ট্রেন্ড লাইন আমাদেরকে এই কারেকশনের সমাপ্তি নির্ধারণে সহায়তা করবে।

বৃহস্পতিবার, GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, যেহেতু মূল্য এখনো 1.2502-1.2508 এরিয়ার উপরে যেতে পারেনি। তবে, সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই ইসিবির আজকের বৈঠকের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও, আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে ইসিবির বৈঠকও ব্রিটিশ পাউন্ডের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

আরো দেখুন: Start Forex trading with a European level broker!

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account