logo

FX.co ★ ২৭ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

২৭ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

২৭ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সোমবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। জার্মানিতে, IFO বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে; তবে এটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। বর্তমানে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা বিক্রয়ের পরিবর্তে পেয়ারগুলো বেশি ক্রয় করছে জন্য। যদিও আমরা বিশ্বাস করি না যে ইউরো বা পাউন্ডের দর বৃদ্ধি টেকসই বা বিস্তৃত হবে, তবে স্থানীয় পর্যায়ে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিদ্যমান তা অস্বীকার করার উপায় নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

২৭ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সোমবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য রয়েছে। তবে, তিনি ইতোমধ্যে বুধবার এবং শুক্রবার বক্তব্য দিয়েছেন এবং কোনো নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেননি। নতুন সপ্তাহে ইসিবির বছরের প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা 0.25% সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা করছে। এদিকে ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকটি একদিন আগে শেষ হবে। এই মৌলিক বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে বলা যায় ডলারের তুলনায় ইউরো এখনও অসুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে, এবং বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি শুধুমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন বলে মনে হচ্ছে।

উপসংহার:

নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, মূলত টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে মার্কেটে মুভমেন্ট দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুক্রবার ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি বিবেচনায়, সোমবার একটি নিম্নমুখী রিট্রেসমেন্টের সম্ভাবনা যৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে। পূর্বের মতো, বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনকে সমর্থনকারী ট্রেন্ডলাইনের দিকে ঘনিষ্ঠ নজর দেওয়া উচিত। হায়ার টাইমফ্রেম বিশ্লেষণ করে বৈশ্বিক প্রবণতার দিক নির্ধারণ করা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

আরো দেখুন: InstaForex is one of the leaders in the Forex market, 12 years on the market, more than 7,000,000 active clients

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account