logo

FX.co ★ ২১ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

২১ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২১ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে বিশ্লেষণ করলে, আমরা কি বলতে পারি যে পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী কারেকশন শুরু হয়েছে? আমাদের মতে, এর উত্তর হলো না। ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট আরেকটি দুর্বল কারেকশনের মতো দেখাচ্ছে, যা যেকোনো মুহূর্তে শেষ হতে পারে। এটি আমাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কোনো কারণ দেখতে পাচ্ছি না। সোমবার অনুষ্ঠিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেনি। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন, যেমন "আমি সব যুদ্ধ শেষ করব," তবে বলা ও বাস্তবায়ন করার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে একটি অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, যা আমাদের এই কারেকশনের সমাপ্তি নির্ধারণে সাহায্য করবে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২১ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার শক্তিশালী মুভমেন্টের কারণে বেশ কয়েকটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2164-1.2170 এরিয়া থেকে নিখুঁতভাবে রিবাউন্ড করে এবং 1.2316 লেভেল পৌঁছে যায়। এই বাই ট্রেডটি ট্রেডারদের বেশ ভালো লাভ করার সুযোগ দেয়। এরপরে, 1.2316 এবং 1.2270 লেভেলে আরও রিবাউন্ড হয়, যা ব্যবহার করে অতিরিক্ত লাভ করা যেতে পারত। রাতে আরও কয়েকটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে আমরা সেগুলো বিবেচনা করিনি।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা 1.1800 এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। সুতরাং, আমরা কেবল আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি; তবে অবশ্যই টেকনিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বর্তমানে, আরেকটি কারেকশন চলছে, এবং এই কারেকশন কখন শেষ হবে তা নির্ধারণে ট্রেন্ডলাইন আমাদের সাহায্য করবে।

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট আরও স্থিতিশীল হতে পারে এবং মূল্য পুনরায় অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের দিকে ফিরে যেতে পারে।

আরো দেখুন: You can open a trading account here

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798।

মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্য থেকে বেকারত্ব প্রতিবেদন, বেকারত্ব ভাতার আবেদনের পরিবর্তন এবং গড় আয়ের পরিবর্তন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে আজ উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। আমরা আশা করছি যে আজ ডলারের দর বৃদ্ধি শুরু হতে পারে, কারণ গতকালের দরপতন অত্যধিক আবেগতাড়িত ছিল।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account