logo

FX.co ★ ২০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

২০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবার GBP/USD পেয়ার একটি স্থানীয় হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং চালিয়ে গেছে। তবে, গত সপ্তাহের মার্কেট মুভমেন্টকে ফ্ল্যাট বলা যাবে না। মূল্য 1.2107 এর লেভেল টেস্ট করেছে, সেখান থেকে রিবাউন্ড করে ন্যূনতম কারেকশন করেছে এবং তারপর ধীরে ধীরে মূল্য নিম্নমুখী হয়ে দরপতন অব্যাহত রেখেছে। একটি প্রকৃত ফ্ল্যাট মার্কেট প্রতিষ্ঠার জন্য তৃতীয় রেফারেন্স পয়েন্ট প্রয়োজন। যদি পরপর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় মূল্য 1.2107 লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে ব্যর্থ হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্য দীর্ঘ সময়ের জন্য এই হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকতে পারে।

গত সপ্তাহে, পুনরায় ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন শুরু হওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ ছিল। দুটি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে), জিডিপি প্রতিবেদন, খুচরা বিক্রয়, এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল সবই যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির দুর্বলতা বা ফেডারেল রিজার্ভের হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা নির্দেশ করেছে। ফলে, পাউন্ডের মূল্য কেবলমাত্র সামান্য কারেকশন করতে পেরেছে এবং এখন আরও দরপতনের জন্য প্রস্তুত। আমরা এই মুহূর্তে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ দেখছি না।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের মতো এই পেয়ারেরও দুটি বাই সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল। মূল্য 1.2164-1.2170 রেঞ্জ থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে এবং প্রতিবারই মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলস্বরূপ, নতুন ট্রেডাররা দুটি লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ পেয়েছে, প্রতিটি ট্রেড থেকে সামান্য লাভ হতে পারে। শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারকে সমর্থন যুগিয়েছে, তবে এটি আশ্চর্যজনক যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2164-1.2170 এর জোন ব্রেক করেনি।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা সম্পূর্ণভাবে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের আশা করছি, কারণ আমাদের মতে এটি সবচেয়ে যৌক্তিক দৃশ্যপট। সুতরাং, আমরা আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি; তবে, ট্রেডারদের সর্বদা টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা উচিত। এই সপ্তাহে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে সম্ভবত পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকবে, এবং এক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

সোমবার, শান্তভাবে এই পেয়ারের ট্রেড করা হতে পারে তবে মূল্য 1.2164-1.2170 এর রেঞ্জ ব্রেক করতে পারে, যা নতুন করে নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু করবে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যাবে না। তবে, যদি মূল্য 1.2164-1.2170 এরিয়া ব্রেক করে যায়, তবে পাউন্ডের মূল্যের তীক্ষ্ণ নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

আরো দেখুন: You can open a trading account here

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account