logo

FX.co ★ ১৭ জানুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

১৭ জানুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৭ জানুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে এবং মূলত সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। আমরা পূর্বেই অনুমান করেছিলাম যে নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো মার্কেটে বড় কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে না, এবং আমাদের এই অনুমান সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য 1.0269 লেভেলটি আবারও টেস্ট করেছে এবং সেখান থেকে বাউন্স করেছে, তবে এটি নতুন করে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের ইঙ্গিত দেয় না।

উল্লেখযোগ্য যে, এই সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল মূলত ডলারের দর বৃদ্ধিকে সমর্থন যুগিয়েছে, ইউরোর নয়। গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে টানা তিন মাস ধরে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছে। তাই, শিগগিরই ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নেই, যেখানে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা মনে করি, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৭ জানুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে কেবলমাত্র একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে মূল্য 1.0269-1.0277 রেঞ্জ থেকে বাউন্স করতে সংগ্রাম করেছে এবং ৩০ পিপসের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। মার্কিন খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় কিছুটা নেতিবাচক ছিল, যা ইউরোকে সামান্য সহায়তা প্রদান করেছে। তবে, লক্ষ্যণীয় যে সামগ্রিকভাবে এমনকি ঘণ্টাভিত্তিক চার্টেও এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বিরাজ করছে।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা মনে করি যে, মধ্যমেয়াদে ইউরোর দরপতন পুনরায় শুরু হয়েছে এবং এটির মূল্য ডলারের সাথে প্যারিটি লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ইউরোর আরও দরপতন সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ মার্কিন ডলার মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে অব্যাহতভাবে সমর্থন পেয়ে চলেছে।

শুক্রবারে এই পেয়ারের মূল্যের শান্ত মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, এবং ইউরোর মূল্যের আরও নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আশা করছি যে, আজ মূল্য 1.0269-1.0277 রেঞ্জট ব্রেক করতে পারে।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851। শুক্রবারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় পূর্বাভাস প্রকাশ করা হবে, যা তেমন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মাণ অনুমোদন এবং শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

আরো দেখুন: InstaForex is one of the leaders in the Forex market, 12 years on the market, more than 7,000,000 active clients

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account