FX.co ★ ২৪ ডিসেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

সোমবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। পূর্ববর্তী নিবন্ধে, আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে শুক্রবার ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি অযৌক্তিক ছিল, যা মূল্যের আগের লেভেলে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়েছিল। ঠিক সেটাই ঘটেছে। যদিও ইউরোর মূল্য 1.0359 লেভেলে পৌঁছায়নি, আজ এই লেভেলে পৌঁছানোর ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। এই লেভেলটি এখন এই পেয়ারের মূল্যের ক্ষেত্রে একটি চুম্বকের মতো কাজ করছে। সমস্ত টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এই লেভেলটি সম্ভবত ব্রেক করা যাবে এবং সার্বিক পরিস্থিতিউ আমাদের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। আমরা এখনও মনে করি ইউরোর মূল্য 1.00–1.02 রেঞ্জে নেমে যাবে। সোমবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না, যা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানো বা বিশ্লেষণের জন্য তেমন কিছু দেয়নি। এই সপ্তাহের মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও তেমন গুরুত্বপূর্ণ হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার একটি সেল সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, মূল্য টানা দ্বিতীয়বারের মতো 1.0433–1.0451 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করে এবং 30 পিপসের দরপতন ঘটে। যদিও এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি মাঝারি মাত্রার ছিল এবং মূল্য নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি, তাই সিগন্যালটি এখনও কার্যকর রয়ে গেছে, যা নির্দেশ করে যে শর্ট পজিশন এখনও ধরে রাখা যেতে পারে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ার প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সাইডওয়েজ প্রবণতায় ট্রেড করছে। তবে, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফল মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের স্থবির থাকার প্রবণতার সমাপ্তি ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি যে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হয়েছে। আসন্ন ছুটির সপ্তাহগুলোতে, মার্কেটে আবার ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শুরু হতে পারে বা একটি কারেকশন হতে পারে। তবুও, আমরা আশা করছি মূল্য 1.0334–1.0359-এর লেভেলে ফিরে আসবে।

মঙ্গলবার, 1.0334–1.0359 জোনের দিকে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, যা বর্তমানে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.0269–1.0277, 1.0334–1.0359, 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0845–1.0851, and 1.0888–1.0896। মঙ্গলবার ইউরোজোনে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন এবং এটির প্রভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।