logo

FX.co ★ EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১০ ডিসেম্বর; এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে

EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১০ ডিসেম্বর; এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে

EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১০ ডিসেম্বর; এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে

সোমবার তুলনামূলকভাবে সংযতভাবে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে তবে এই পেয়ারের মূল্য উভয় দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। এই ধরনের মুভমেন্ট অপ্রত্যাশিত ছিল, যদিও এই মুভমেন্টগুলোকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা কঠিন। বরং এটিকে "বিভ্রান্তিকর" মুভমেন্ট হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ের সময় কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না বা কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি, ফলে মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো বেশি কিছু ছিল না। তবে বর্তমানে কমপক্ষে তিনটি কারণ মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করছে।

গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেগুলোর সব ফলাফল মার্কিন ডলারের জন্য ইতিবাচক ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, বেকারত্বের হার এবং ISM থেকে প্রকাশিত পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচকের ফলাফল হতাশাজনক ছিল। তবে, আরও কিছু প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছিল, যার মধ্যে নন ফার্ম পেরোল, ISM উৎপাদন সংক্রান্ত PMI সূচক, ADP কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন, JOLTs জব ওপেনিং এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান ভোক্তা আস্থা সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে, গত সপ্তাহে মার্কিন ডলারের দরপতন কিছুটা অস্বাভাবিক ছিল। তবে, এই ধরনের কারেকটিভ মুভমেন্ট প্রযুক্তিগত দিক থেকে স্বাভাবিক এবং মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি প্রত্যাশিত থাকে। এটি নির্দেশ করে যে সাম্প্রতিক মুভমেন্টগুলো মূলত প্রযুক্তিগত কারণে ঘটেছে।

যদি তাই হয়, তাহলে প্রযুক্তিগত কারণগুলো ইতিমধ্যে মার্কেটে প্রতিফলিত হয়েছে, তবে মৌলিক উপাদানগুলো এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। ফলে, এই সপ্তাহে মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এই সপ্তাহে আবার মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে এটি নিশ্চিতভাবে ইঙ্গিত দেবে যে ফেডারেল রিজার্ভ আসন্ন বৈঠকে সুদের হার কমাবে না। এটি মার্কিন ডলারকে আরও শক্তিশালী হওয়ার জন্য দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করবে।

মৌলিক দিক থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে: ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডের চেয়েও দ্রুত সুদের হার কমাচ্ছে। উপরন্তু, ইসিবির সুদের হার শুরু থেকেই ফেডের চেয়ে 1% কম ছিল। এখন পর্যন্ত, মার্কেটের ট্রেডাররা মূলত ফেডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে, আমরা মনে করি যে EUR/USD পেয়ারের 500-600 পিপসের দরপতন পেয়ারটির মূল্যকে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে আনার জন্য যথেষ্ট নয়।

তাছাড়া একটি বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত কারণে সক্রিয় রয়েছে: দীর্ঘমেয়াদে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইউরোর মূল্যের দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা কেবল তখনই শুরু হতে পারে যখন এই প্রবণতার সমাপ্তির স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে এখনও এমন কোনো ইঙ্গিত নেই এবং ইউরোর আরও দর বৃদ্ধি ঘটার মতো মৌলিক কারণও অনুপস্থিত।

উর্ধ্বমুখী কারেকশন আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, বিশেষত যদি এই সপ্তাহে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কোনো ইঙ্গিত না পাওয়া যায়। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি একই রয়েছে: এই পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো বৃদ্ধিকে কেবল একটি কারেকটিভ মুভমেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১০ ডিসেম্বর; এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে

১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাট্যালিটি হচ্ছে 72 পিপস দাঁড়িয়েছে, যা "মাঝারি" হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মঙ্গলবার, এই পেয়ারের মূল্য 1.0492 থেকে 1.0636 পর্যন্ত মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিম্নমুখী হচ্ছে, যা বৈশ্বিক পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতা নির্দেশ করে। CCI সূচকটি একাধিকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যার ফলে একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:

  • S1: 1.0498
  • S2: 1.0376
  • S3: 1.0254

নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:

  • R1: 1.0620
  • R2: 1.0742
  • R3: 1.0864

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

যেকোনো সময় পুনরায় EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, আমরা ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করেছি যে আমরা মাঝারি মেয়াদে ইউরোর কেবল দরপতনের প্রত্যাশা করছি এবং সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ফেডের সম্ভাব্য সুদের হার কমানোর ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি এটি ঘটে, তাহলে মধ্যমেয়াদে ডলারের দরপতনের খুব বেশি কারণ থাকবে না, যেমনটি আগেও ছিল না। মূল্য মুভিং এভারেজের নিচে কনসলিডেট হলে 1.0376 এবং 1.0254 এর লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। "বিশুদ্ধ" প্রযুক্তিগত ভিত্তিতে ট্রেডিং করলে, মূল্য মুভিং এভারেজের উপরে থাকলে 1.0620 এবং 1.0636 এর লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে, আমরা এই মুহূর্তে লং পজিশন ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছি না।

চিত্রের ব্যাখা:

  • লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
  • মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
  • মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
  • অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
  • সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।
* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account