logo

FX.co ★ ১৯ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

১৯ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৯ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য কারেকশন করার চেষ্টা করেছিল তবে মূল্য 1.2680-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেলটি অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছিল। ফলে, এই কারেকশনটি প্রকৃতপক্ষে শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যেতে পারে। গতকাল শুধুমাত্র প্রযুক্তিগতভাবে একটি কারেকশনের প্রয়োজনীয়তা ছাড়া ব্রিটিশ মুদ্রার দর বৃদ্ধির জন্য কোনো মৌলিক কারণ ছিল না। পাউন্ড স্টার্লিং যতই ওভারসোল্ড থাকুক না কেন, মাঝে মাঝে কারেকশন বা পুলব্যাক অনিবার্য।

আমরা এই পেয়ারের মূল্যের অব্যাহত কারেকশনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, যা কিছু সময়ের জন্য চলমান থাকতে পারে। তবে, মধ্যমেয়াদে, আমরা আশা করছি যে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকবে। বুধবার পাউন্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, কারণ যুক্তরাজ্যে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) ভা ভোক্তা মূল্য সূচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে—যা এ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই প্রতিবেদনটির ফলাফল সরাসরিভাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কতটা দ্রুত সুদের হার কমাবে সে বিষয়টি নির্ধারণ করে থাকে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৯ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার 1.2633 লেভেলের কাছে একটি বাই সিগন্যাল পাওয়া গেছে। মূল্য এই লেভেলটি ব্রেক করায় নতুন ট্রেডারদের জন্য লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। দিনের শেষে, এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.2680-এর লেভেলে পৌঁছায়। বর্তমানে, মূল্য 1.2680-1.2685 এর জোন ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে ব্যর্থ হয়েছে, যা একটি রিবাউন্ড এবং নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার শুরুর সম্ভাবনা নির্দেশ করে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাব্যাপী টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আমরা মধ্যে-মেয়াদে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করছি, কারণ এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। শীঘ্রই আবার পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি কারেকশনের প্রচেষ্টা চালানো হতে পারে, তবে এ ধরনের একটি পদক্ষেপের জন্য উল্লেখযোগ্য মৌলিক সমর্থন প্রয়োজন। গত বৃহস্পতিবার, জেরোম পাওয়েলের মন্তব্য এ ধরনের কোনো সমর্থন প্রদান করেনি, এবং শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলও তা করতে পারেনি। বুধবার, পাউন্ড মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন থেকে সমর্থন খুঁজবে।

নতুন ট্রেডাররা মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের ধারাবাহিকতার আশা করতে পারেন, কারণ মূল্য এখনও 1.2680-1.2685 এর এরিয়ায় স্থিতিশীলভাবে অবস্থান গ্রহণ করতে পারেনি।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2754, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993 লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বিল্ডিং পারমিট এবং হাউজিং স্টার্টস সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়। সুতরাং, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কেট সেন্টিমেন্টের ওপর তেমন কোন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account