logo

FX.co ★ ৫ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৫ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৫ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যও সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে এটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পরে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বেড়েছিল, যা ফেডারেল রিজার্ভকে আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ প্ররোচিত করতে পারে। তবে, এটি বলা কঠিন যে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে ইউরো কিছুটা সমর্থন পেয়েছিল। যদিও এটি বিশেষ শক্তিশালী ছিল না, তবুও কিছুটা সমর্থন ছিল। যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না, তাই কোন কারণ ছাড়াই পাউন্ডের দরপতন হয়েছে। আমরা এখনও ব্রিটিশ কারেন্সির আরও দরপতনের সম্ভাবনা সমর্থন করি, এমনকি কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক কারণ ছাড়াই। সেইসাথে, পাউন্ডের মূল্য এখনো সর্বশেষ স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছায়নি। তাহলে, এটি কি ধরনের কারেকশন? এটি একটি সাধারণ পুলব্যাক বিবেচনা করা যায়। এই সপ্তাহে পাউন্ডের মূল্য বাড়তে পারে, তবে শুধুমাত্র যদি বৃহস্পতিবার ফেড ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করে এবং শ্রমবাজারের দুর্বলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাহলেই পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবার 5-মিনিট টাইমফ্রেমে, মূল্য 1.2980-1.2993 এরিয়ায় দুইবার বাউন্স করেছিল। প্রথমবার, মূল্য প্রায় 25 পিপস কমে গিয়েছিল, এবং দ্বিতীয়বার প্রায় 30 পিপস কমেছিল। এর ফলে, কোনো শর্ট পজিশন লোকসানের দিকে নিয়ে যায়নি, বরং সামান্য লাভ হয়েছে।

মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, মাসব্যাপী দরপতনের পর GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি কারেকশন শুরু করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা পুরোপুরিভাবে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, যা একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য শীঘ্রই আবার কারেকশনের চেষ্টা করতে পারে, তবে এর জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং পরিসংখ্যানগত সমর্থনের প্রয়োজন হবে। গত সপ্তাহে এমন সমর্থন খুব কমই পাওয়া গেছে, এবং যখন এমন সমর্থন থাকে, তখনও পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি প্রদর্শন করতে সংগ্রাম করছে।

মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2980-1.2993 এরিয়া থেকে ট্রেডিং করতে পারেন। গতকাল, মূল্য এই এরিয়া থেকে দুইবার বাউন্স করেছিল, তাই এই লেভেল থেকে এই পেয়ার বিক্রি করা এখনও প্রাসঙ্গিক রয়েছে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে ISM থেকে পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা আজকের মূল ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account