logo

FX.co ★ ৪ নভেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৪ নভেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৪ নভেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আকর্ষণীয় মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যা থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপসংহারে আসা যেতে পারে। দিনের এবং সপ্তাহের প্রধান প্রতিবেদন ননফার্ম পেরোলের ফলাফল মারাত্মকভাবে হতাশাজনক ছিল। অক্টোবর মাসে মাত্র 12,000টি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও, ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। তবুও, দিনের শেষে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে। এই ধরনের মুভমেন্ট অযৌক্তিক এবং পরবর্তী সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের ধারাবাহিকতার প্রত্যাশা করা যেতে পারে। তবে, আগেও বলা হয়েছে, মাঝারি মেয়াদে কেবল ইউরোর দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রানীতির নমনীয়করণের প্রভাব মার্কেটে পুরোপুরিভাবে বা প্রায় পুরোপুরিভাবে ইতোমধ্যেই মূল্যায়িত হয়েছে, তাই এখন ফেডারেল রিজার্ভ কত দ্রুত সুদের হার কমাবে তা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি শুক্রবারে ডলারের দর বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হয়েছে এবং এর মাঝারি মেয়াদে দরপতন চলমান থাকতে পারে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৪ নভেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবারে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, মূল্য 1.0845-1.0851 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল, যদিও খুব সঠিকভাবে নয়, এবং পরে 1.0888-1.0906 এরিয়া থেকেও অনির্দিষ্টভাবে বাউন্স করেছিল। শেষ পর্যন্ত, মূল্য 1.0845-1.0851 এর এরিয়া ব্রেক করেছে। আমরা মনে করি প্রথম সিগন্যালটি কার্যকর করা যেত, তবে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশের সময় ঝুঁকি এড়াতে মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাওয়াই ভালো ছিল। এই ধরনের শ্রম বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকাশনার মধ্যে ডলারের দর বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া অত্যন্ত কঠিন ছিল।

সোমবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, মাসব্যাপী দরপতনের পরে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। অন্তত কিছু কারণ রয়েছে যা ইউরোর মূল্য বাড়াতে পারে। তবে, আমরা মনে করি এই কারেকশন শক্তিশালী হবে না, কারণ ইউরোর দর বৃদ্ধির জন্য অবিচ্ছিন্ন সহায়ক খবর প্রয়োজন। এমনকি তখনও, এই ধরনের খবর সবসময় ইউরোর পক্ষে কাজ নাও করতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখন ডলার ক্রয়ের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে।

সোমবারে, নতুন ট্রেডাররা 1.0845-1.0851 এরিয়ার আশেপাশে ট্রেড করতে পারে। মূল্য এই এলাকার নিচে স্থির হয়েছে, যা দরপতনের ধারাবাহিকতার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিং করার জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করতে পারেন: 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140। সোমবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট পরিকল্পিত নেই। আমরা দেখব এই পেয়ারের মূল্য 1.0845-1.0851 এরিয়ার নিচে থাকতে পারে কিনা, যা দরপতন অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দেবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account