logo

FX.co ★ ২৫ অক্টোবর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

২৫ অক্টোবর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২৫ অক্টোবর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারে GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও সামান্য ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন পরিলক্ষিত হয়েছে, তবে ইউরোর বিপরীতে এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলস্বরূপ, এক ঘন্টার টাইমফ্রেমেও পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ব্রিটিশ কারেন্সি গতকাল কোনও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থেকে সমর্থন পায়নি। সার্ভিসেস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস তুলনায় দুর্বল ছিল, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুরূপ সূচকগুলোর ফলাফল প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে। তাই পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করা কঠিন।

তবুও, অন্য যেকোন কারেন্সির মতো, পাউন্ডের মূল্য অনির্দিষ্টকালের জন্য নিম্নমুখী থাকতে পারে না। আমরা হয়তো কেবল একটি সাধারণ কারেকশন দেখেছি যা আরও দরপতনের আগে হয়েছে। যাই হোক না কেন, বিয়ারিশ প্রবণতা এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে এবং মাঝারি-মেয়াদে আমরা এখনও এই পেয়ারের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলারকে দুর্বল করতে পারে এমন সমস্ত সম্ভাব্য কারণের প্রভাব মূল্যায়ন করেছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২৫ অক্টোবর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার দুটি যথেষ্ট কার্যকর সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। রাতের বেলায় মূল্য 1.2913 লেভেল থেকে ফিরে আসে, তবে ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশন শুরুর সময় পর্যন্ত মূল্য এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে কয়েক পিপসের বেশি মুভ করেনি। সুতরাং, বাই পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। মার্কিন সেশন শুরু হওয়ার সাথে সাথে মূল্য 1.2980-1.2993 এরিয়াতে পৌঁছে এবং এখান থেকে আবার বাউন্স করে। এই অবস্থায়, লং পজিশন ক্লোজ এবং শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই এরিয়ার ব্রেকআউট হচ্ছে না, ততক্ষণ শর্ট পজিশন ওপেন করে রাখা যেতে পারে।

শুক্রবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে এবং নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা মাঝারি মেয়াদে এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি সমর্থন করি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। শীঘ্রই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের একটি কারেকশনের প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে, তবে এর জন্য মূল্যকে ট্রেন্ড লাইনের উপরে স্থিতিশীল হতে হবে। বর্তমানে পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের কোন সম্ভাবনা নেই।

এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করার আগ পর্যন্ত, শুক্রবারে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে। যদি মূল্য ট্রেন্ডলাইন নিচে থাকে, তাহলে বাই পজিশন বিবেচনা করার কোন কারণ নেই। যে কোনও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট সম্ভবত একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হবে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440 লেভেলগুলোর আশেপাশে ট্রেড করা যেতে পারে। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার রিপোর্ট সংক্রান্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

আরো দেখুন: Start Forex trading with a European level broker!

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account