শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবারেও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত ছিল, তবে এই পেয়ারের মূল্য এখনও ট্রেন্ডলাইনের নিচেই রয়েছে। তাই সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়েও কোন কিছুরই পরিবর্তন হয়নি। হ্যাঁ, যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফলের কারণে পাউন্ড কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে, কিন্তু আমরা এখনও বলতে পারি না যে এই পেয়ার 200-300 পিপসের একটি বড় মুভমেন্টের জন্য প্রস্তুত। তাছাড়া, আমরা এমন উল্লেখযোগ্য কারেকশনের আশা করছি না, এমনকি যদি মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরেও থাকে। মনে রাখতে হবে যে, পাউন্ডের মূল্য তিন সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করলেও এটি এখনও অতিরিক্ত ক্রয় করা হয়েছে এবং অন্যায্যভাবে ব্যয়বহুল রয়েছে। মার্কেটে ডলার বিক্রি করার জন্য ক্রমশ কম কারণ থাকলেও, পাউন্ড বিক্রির কারণগুলো বাড়ছে। মার্কেটের ট্রেডাররা বুঝতে পারছে যে, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার নিচে চলে যাওয়ায় ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড শীঘ্রই আবার মুদ্রানীতি নমনীয় করতে শুরু করতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
শুক্রবার 5-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, 1.3043 লেভেলের আশেপাশে অনেকগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিক হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক ভোলাটিলিটি আবারও কম ছিল, মোটে 67 পিপসের মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছিল। এর বেশিরভাগই যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রভাবে হয়েছে। মূলত, আমরা এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই পেয়ারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখেছি এবং দিনের বাকি সময় জুড়ে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট প্রায় স্থির ছিল। মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারকে কিছুটা শক্তিশালী করেছিল, তবে এর প্রভাব খুবই সামান্য ছিল।
সোমবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে এবং দরপতন অব্যাহত রয়েছে। আমরা মাঝারি মেয়াদে এই পেয়ারের দরপতনকে পুরোপুরি সমর্থন করি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। নিকট ভবিষ্যতে, পাউন্ডের মূল্যের কিছুটা কারেকশন করার চেষ্টা করা হতে পারে, তবে এটি ঘটার জন্য, অন্ততপক্ষে মূল্যকে ট্রেন্ডলাইনের উপরে স্থিতিশীল হতে হবে। যাই হোক না কেন, বর্তমান স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটির কারণে, এই পেয়ারের মূল্যের তীব্র এবং দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করা অনুচিত।
সোমবার, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, যেহেতু ট্রেন্ডলাইনটি অক্ষত নেই। মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে থাকলে বাই পজিশন নিয়ে আলোচনা করা অর্থহীন। এমনকি যদি ব্রেকআউট ঘটে, তবুও এটি কেবল একটি কারেকশন হবে।
5-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, বর্তমানে 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440 লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে। সোমবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি আরও কমে যেতে পারে এবং মূল্য ধীরে ধীরে "ট্রেন্ডলাইনের" দিয়ে নিম্নমুখী হতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।