logo

FX.co ★ ১৫ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

১৫ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট:

১৫ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবার, EUR/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল। সোমবার ইইউ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়া এবং এই দেশগুলোতে কোনও উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট না থাকা সত্ত্বেও মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত এই দরপতন অব্যাহত ছিল। তবে প্রতিদিনই ইউরোর দাম কমছে। স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে দরপতন ধীরে ধীরে হচ্ছে, কিন্তু ইউরোর মূল্যের অবিচলিত নিম্নগামী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। এই মুভমেন্ট আমাদের বিস্মিত করছে না, কারণ আমরা দীর্ঘদিন ধরে উল্লেখ করেছি যে ইউরো অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়েছে। অতএব, ইউরোর প্রায় প্রতিদিনের দরপতন আমাদের কাছে যৌক্তিক পরিস্থিতি বলে মনে হয়। মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার পুরো নমনীয়করণ চক্রের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করেছিল এবং এখন এই চক্রটি শুরু হয়েছে, তাই ডলার বিক্রি করার আর কোন কারণ নেই। উপরন্তু, মনে হচ্ছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা এই বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে ভুলে গেছে যে ইসিবিও সুদের হার কমাচ্ছে এবং এই সপ্তাহের বৈঠকে তারা তৃতীয়বারের জন্য এটি করতে পারে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, মধ্য মেয়াদে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকা উচিত।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৫ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার সন্ধ্যায় এই পেয়ারের একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা খুব বেশি কার্যকর ছিল না। শুক্রবার, এই পেয়ারের মূল্য দুবার 1.0940–1.0951 এর লেভেল টেস্ট করেছে, কিন্তু এটি সোমবার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং তাই কোন সেল সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রায় প্রতিদিনও এই পেয়ারের দরপতন হচ্ছে, তাই এই সময় আমরা সিগন্যাল নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নই। সংখ্যাগরিষ্ঠ ট্রেডাররা যখন এই পেয়ার বিক্রি করছে তখন এই পেয়ার কেনার খুব বেশি যৌক্তিকতা নেই।

মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার দিকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, মধ্যমেয়াদে আবার অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি শুরু হতে পারে, কেননা কেউ জানে না মার্কেটের ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকবে। যাইহোক, আপাতত প্রতি ঘন্টার টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা রয়েছে। আমরা আশা করি ইউরো দরপতন অব্যাহত থাকবে, এমনকি কোন কারেকশন নাও হতে পারে, কারণ ইউরো অতিরিক্ত কেনা হয়েছে। যাইহোক, একটি কারেকশন হলে সেটিও যৌক্তিক পরিস্থিতি হবে।

মঙ্গলবার, 1.0888-1.0896 লেভেল থেকে ট্রেড করা যেতে পারে। আবারও এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই উচ্চ লাভের আশা করা যায় না।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেড করার জন্য 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0838–1.0856, 1.0888–1.0896, 1.0940–1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1189–1.1191 লেভেল বিবেচনা করা উচিত। মঙ্গলবার, প্রকাশিতব্য একমাত্র প্রতিবেদনটি হল ইইউ শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদন, যা মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব সৃষ্টি করার সম্ভাবনা নেই।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account