সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বুধবার কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। একদিকে, এর অর্থ হলো উভয় প্রধান কারেন্সি পেয়ারের আরও দরপতনের জন্য কোনও অতিরিক্ত চাপ নেই। অন্যদিকে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কারেকশন করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। তাই, কারেকশন ছাড়াই উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে নতুন প্রযুক্তিগত সিগন্যালের প্রয়োজন। যেকোনো ক্ষেত্রেই, আজ কোন উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের আশা করা যাচ্ছে না।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বুধবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে, ফেডারেল রিজার্ভের মনিটারি কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যের বক্তব্যের ওপর দৃষ্টি দেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে লরি লোগান, থমাস বারকিন, অস্টান গুলসবি ও অন্যান্য কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা নভেম্বরে সুদের হার ০.৫% কমানোর বিষয়টিকে সমর্থন করছেন, তবে সবাই নয়। তাই মার্কেটের ট্রেডাররা এই বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যে, আর কারা "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থানের পক্ষে আছেন। ফেডের যত বেশি সদস্য ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের পক্ষে থাকবে, ভবিষ্যতে ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা তত কমে যাবে। তবে এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই আসন্ন আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের পুরো চক্রটি আংশিক বা পুরোপুরি মূল্যায়ন করে ফেলেছে। ডলারের দরপতনের জন্য নতুন কোন কারণ নেই।
উপসংহার:
সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে। তবে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিনেও একই সুযোগ ছিল কিন্তু সেটি ঘটেনি। মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং নভেম্বর মাসে ফেডের সুদের হার ০.৫% কমানোর সম্ভাবনা ডলারের ওপর কোন চাপ সৃষ্টি করছে না। যদি কার্যকর সেল সিগন্যাল পাওয়া যায়, তবে কারেকশন ছাড়াই উভয় কারেন্সি পেয়ারের আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।