সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার, দুর্বল মোমেন্টাম সত্ত্বেও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। চার্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মোমেন্টাম ম্লান হয়ে যাচ্ছে এবং নতুন প্রতিবেদন ছাড়া ট্রেডাররা আর ব্রিটিশ মুদ্রা বিক্রি করতে ইচ্ছুক নয়। এই সপ্তাহে খুব কমই নতুন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি শুরু করতে পারে, যা প্রযুক্তিগতভাবে কার্যকর হবে। যদি এখন একটি নতুন মধ্য-মেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়, তাহলে দরপতন পুনরায় শুরু হওয়ার আগে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি 2.3%-এ নেমে আসতে পারে, যা কয়েক মাস আগে বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। যত দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি কমে, তত তাড়াতাড়ি ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে। আমাদের দৃষ্টিতে, মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ফেডের মুদ্রানীতি নমনীয়করণ চক্রের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করেছে, তবে ফেডের সামান্য বেশি ডোভিশ বা নমনীয় পদক্ষেপ নতুন করে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
সোমবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে (TF) একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া ব্রেক করে যায়, যার ফলে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি তবে দিনের বাকি অংশে নির্ধারিত এরিয়ার নিচে এই পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। অতএব, যে কোনও সময়ে সেল ট্রেডটি ক্লোজ করা যেতে পারত এবং এটি তারপরও লাভজনক হত।
মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৃদ্ধির সূচনা হয়েছে, তবে এই পেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত, কারণ শুক্রবার থেকেই মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে পাউন্ড বিক্রি করার প্রতি খুব বেশি আগ্রহ দেখা যায়নি।। এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে মূল বিষয় হল এটি কেবলই কারেকশন হওয়া উচিত, নতুন করে অযৌক্তিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার শুরু নয়।
মঙ্গলবার, পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হতে পারে, এবং 1.3102-1.3107 এর লেভেলের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা উচিত, যার উপরে মূল্যের কনসলিডেশন হতে পারে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির প্রভাব পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন থেকে বিরত রাখতে পারবে না বলে মনে হচ্ছে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440, 1.3488, এবং 1.3537 লেভেলের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা যেতে পারে। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ হতে পারে এবং সারা দিন ধরে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের কারেকটিভ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।