সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
সোমবারে অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের খুচরা বিক্রির প্রতিবেদন। এটি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, তাই এটির প্রভাবে মার্কেটে খুবই সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। সামগ্রিকভাবে, গত সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য হ্রাস পেয়েছে, তাই এ সপ্তাহে মার্কেটে উভয় পেয়ারের মূল্যের কারেকশন দেখা যেতে পারে (বিশেষ করে যেসব দিনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা এবং মৌলিক পটভূমি নেই)। এটি বিশেষভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যা ২০২৪ সালে ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে কমই দরপতনের শিকার হয়েছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
সোমবারে উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি নিল কাশকারি এবং রাফায়েল বস্টিকের বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি আকর্ষণীয় হবে কারণ ফেডের কর্মকর্তাগণ শুক্রবার প্রকাশিত বেকারত্ব এবং নন-ফার্ম পেরোল প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। আমরা সম্ভবত এমন বিবৃতি শুনতে পারব যেখানে পরবর্তী বৈঠকে ফেডের আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রয়োজন নেই বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। এই তথ্য মার্কিন ডলারকে সমর্থন করতে পারে। সেপ্টেম্বরের শ্রম বাজারে ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে এবং বেকারত্বের হার কমেছে। এটি আসন্ন সপ্তাহগুলোতে ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে।
উপসংহার:
নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে। মার্কিন ডলার শুধুমাত্র কাশকারি এবং বস্টিকের হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিতের উপর ভিত্তি করে টানা ছয় দিন ধরে বৃদ্ধির মুখ দেখতে পারে। তবে, তারা সন্ধ্যার দিকে বক্তব্য দেবেন, তাই দিনের বেলা উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের পথে কোনো বাধা থাকবে না। একই সময়ে, ইউরোপীয় সেশনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, কারণ ইউরোপীয় সেশনে মার্কেটের ট্রেডাররা শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
What's on the Charts:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন: লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD সূচক: MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
ফরেক্স মার্কেটে নতুন ট্রেডারদের জন্য: নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।