logo

FX.co ★ ৭ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৭ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৭ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের শক্তিশালী দরপতন হয়েছে, যা সারা সপ্তাহ ধরেই চলমান ছিল। অবশ্যই, শুক্রবার মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির প্রধান কারণ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল, যার জন্য সপ্তাহের শুরু থেকেই মার্কেটের ট্রেডাররা অপেক্ষা করছিল। সেপ্টেম্বরে নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফল দেখা গিয়েছে যে এই সূচক পূর্বাভাসের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি ছিল, কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। একই সময়ে, বেকারত্বের হার 4.1% এ নেমে এসেছে, যা মার্কেটের ট্রেডাররা আশা করেনি। এই দুটি প্রতিবেদনের কারণে ডলার আবার বেড়েছে।

যাইহোক, আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে সামগ্রিকভাবে মার্কিন ডলারের দর বেশি কমে গিয়েছে এবং বেশি বিক্রি হয়েছে। ফলে, এমনকি এই প্রতিবেদন ছাড়াই ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়া উচিত, এবং ইউরোর দরপতন হওয়া উচিত। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন দুই বছর ধরে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের বিষয়টি দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, যখন সম্প্রতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়েছে সে বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৭ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, মূল্য 1.1011 লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয়, তারপর 1.0973 লেভেলের মধ্য দিয়ে ব্রেক করে যায়। যাইহোক, এই সিগন্যালগুলো কার্যকর করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশের পর, 5 মিনিটের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্য 65 পিপস কমে গেছে, তাই শুধুমাত্র পেন্ডিং অর্ডার ব্যবহার করে ট্রেড করা যেতে পারে। যখন এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার মোমেন্টাম প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল তখন দ্বিতীয় সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল।

সোমবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে এই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্যভাবে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, মধ্যমেয়াদে আবার অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি শুরু হতে পারে, কেননা কেউ জানে না মার্কেটের ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকবে। যাইহোক, এখন এক ঘন্টার টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। একটি কারেকশনের পরে, ইউরোর আরও দরপতনের আশা করা যেতে পারে।

আপনি সোমবার 1.0971 লেভেল থেকে ট্রেড করতে পারেন। যেহেতু ইউরো টানা পাঁচ দিন ধরে দরপতনের শিকার হচ্ছে, তাই এই সপ্তাহে ইউরোর মূল্যের কারেকশনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এই পেয়ারের সামান্য দর বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত থাকুন।

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত: 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140, 1.1189-1.1191, 1.1275-1.1292। সোমবার, ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা বে, যা নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের একমাত্র ইভেন্ট। আমরা সম্ভবত একটি কারেকশনের সাথে তুলনামূলকভাবে দুর্বল মুভমেন্টের আশা করতে পারি।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account