logo

FX.co ★ ২৩ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

২৩ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২৩ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু মূল্য বুধবারে পৌঁছানো শেষ স্থানীয় উচ্চতার কাছাকাছি রয়ে গেছে। গত সোমবার থেকেই ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ডোভিশ ফলাফলের প্রত্যাশা করতে শুরু করায় সপ্তাহজুড়ে ইউরোর মূল্য আবার বেড়েছিল। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূলের ব্যাপক অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছিল, তবে শুক্রবারের মধ্যে মার্কেট কিছুটা শান্ত হয়েছিল। যাইহোক, "শান্ত হওয়ার" অর্থ এই নয় যে "মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে।"

বুধবার একটি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল - ফেড আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ শুরু করেছে। এখন এক অর্থে ডলারের দরপতনের পেছনে সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্টরটি আর নেই। মনে করে দেখুন যে বছরের শুরু থেকেই, ট্রেডাররা ফেডের সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশায় বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের মূল্য নির্ধারণ করা শুরু করে, যা ট্রেডাররা প্রাথমিকভাবে মার্চ মাসে সুদের হার হ্রাসের আশা করেছিল। এখন, আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ শুরু হয়েছে। আগের মতোই, আমরা ইউরোর ক্রমাগত দর বৃদ্ধির পর্যাপ্ত কারণ দেখতে পাচ্ছি না, তবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক কারণ নির্বিশেষে বর্তমানে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি চলমান রয়েছে। তাই ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করা উচিত হবে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২৩ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে কোন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। এই পেয়ারের মূল্য 1.1132 লেভেলে পৌঁছেছিল কিন্তু এই মুভমেন্ট কাজে লাগানো যায়নি। 1.1140 এর লেভেলটি নতুন, এবং শুক্রবারে মূল্য সেখানে পৌঁছায়নি। সুতরাং, মার্কেটে এন্ট্রির কোন সুযোগ ছিল না।

সোমবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:

এক ঘন্টায় টাইমফ্রেমে, এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠন করার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু সেই সম্ভাবনাগুলো দ্রুত ম্লান হয়ে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটে মাঝারি মেয়াদে সহজেই অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি চলমান থাকতে পারে, কারণ কেউ জানে না যে ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করবে এবং ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের বিষয়টি উপেক্ষা করবে। মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের সমস্ত সম্ভাব্য ভবিষ্যত সুদের হার হ্রাসের বিষয়টি আমলে নিয়ে চলেছে, এদিকে তারা ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে এমন কারণগুলো উপেক্ষা করছে।

সোমবার, আমরা একটি বিয়ারিশ কারেকশন ছাড়া অন্য কিছুর আশা করতে পারছি না। ইউরো অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়েছে। তাই, টেকনিক্যাল লেভেলের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

5M টাইম ফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140, 1.1189-1.1191, 1.1275-1.1292। সোমবার, জার্মানি, ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরের পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সূচকসমূহ (প্রাথমিক অনুমান) প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে সংযত মাত্রার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে৷

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account