logo

FX.co ★ ১৮ সেপ্টেম্বরে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

১৮ সেপ্টেম্বরে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৮ সেপ্টেম্বরে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আবার 1.3225 এর লেভেলে পৌঁছেছিল কিন্তু এটি ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং পরবর্তীতে পুলব্যাক করেছে। আমরা মনে করি এই রিবাউন্ডের কারণে এই পেয়ারের দরপতনের সূত্রপাত হয়েছে, বিশেষ করে যেহেতু ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটিও 1.3225 লেভেলের কাছাকাছি চলে এসেছে। অতএব, আমরা এখন এই উপসংহারে আসতে পারি যে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা আপাতত অটুট রয়েছে। যাইহোক, কোন ভিত্তি বা কারণ ছাড়াই গত কয়েকদিন ধরে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভের আসন্ন বৈঠকের ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে রয়ে গেছে। আমরা অবশ্যই ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের সম্ভাবনাকে সমর্থন করছি, যা অতিরিক্ত কেনা এবং অত্যধিক ব্যয়বহুল, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা কিছু সময়ের জন্য ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের উপর ভিত্তি করে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা অব্যাহত রাখতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা অন্যান্য সকল কারণের প্রতি তেমন কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৮ সেপ্টেম্বরে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, 1.3225 লেভেলের কাছাকাছি দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোর সিগন্যালের বিপরীতে, পাউন্ডের জন্য ট্রেডিং সিগন্যালগুলো অত্যন্ত নির্ভুল এবং কার্যকর ছিল। অতএব, নতুন ট্রেডারদের শর্ট পজিশন ওপেন করার একটি ভাল সুযোগ ছিল। তারপর এই পেয়ারের মূল্য 1.3145-1.3167 এরিয়াতে সুনির্দিষ্টভাবে মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছিল, যেখানে শর্ট পজিশন ক্লোজ করা যেতে পারে। গতকাল এই পেয়ারের ট্রেডিং করে প্রায় 60 পিপস মুনাফা অর্জন করা গিয়েছিল।

বুধবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার বা অন্তত একটি উল্লেখযোগ্য কারেকশন দেখতে পাওয়ার বেশ ভাল সম্ভাবনা দেখছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত, আমরা তা বাস্তবে পরিণত হতে দেখিনি। ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ডলার কেনার চেয়ে বিক্রি করার দিকে বেশি ঝুঁকছে। এখন পর্যন্ত, শুধুমাত্র পাউন্ডের মূল্যের সামান্য নিম্নমুখী কারেকশন হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের পূর্ণাঙ্গ নিম্নমুখী প্রবণতার ব্যাপারে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3225 লেভেলের মধ্য দিয়ে ব্রেক করে যায়, তাহলে এটি অদূর ভবিষ্যতে ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে আরও কমিয়ে দেবে।

বুধবার, পুনরায় এই পেয়ারের দরপতন শুরু করার চেষ্টা করা হতে পারে, কারণ মূল্য 1.3225 লেভেলের মধ্য দিয়ে ব্রেক করে যেতে দুবার ব্যর্থ হয়েছে। যাইহোক, যদি এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলের উপরে কনসলিডেট হয়, তাহলে আমরা ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।

5 মিনিটের টাইমফ্রেমের, আপনি বর্তমানে 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3310, 1.3365 লেভেলের কাছাকাছি ট্রেড করতে পারেন। বুধবারের জন্য যুক্তরাজ্যে কোনও উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, নতুন বাড়ি বিক্রয় এবং বিল্ডিং পারমিট সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আমরা এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে 20 পিপসের বেশি প্রতিক্রিয়ার আশা করছি না। সবার দৃষ্টি এখন ফেডের বৈঠকের দিকে রয়েছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account