FX.co ★ ১৭ সেপ্টেম্বরে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম দেখা গেছে এবং অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু না থাকা সত্ত্বেও এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ছিল। যাইহোক, 2024 সাল জুড়ে ট্রেডাররা দীর্ঘদিন ধরেই ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের ভিত্তিহীন বৃদ্ধিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। অবশ্যই, কেউ কেউ ধরে নিতে পারে যে বুধবার অনুষ্ঠিতব্য ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের ভিত্তিতে মার্কেটের ট্রেডাররা আবার পূর্বনির্ধারিতভাবে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করছে, কিন্তু আপনি কি মনে করেন না যে পুরো বছর জুড়েই ট্রেডাররা ফেডের সুদের হার কমানোর আগেই এটির ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করেছে? এমনকি যা এখনও ঘটেনি সেটিই মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করছে?

এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনে ফিরে এসেছে এবং মনে হচ্ছে এই লাইনটি শীঘ্রই ব্রেক করা হবে। আজ, আমরা এই লাইন থেকে একটি রিবাউন্ড এবং সামান্য দরপতন হতে দেখতে পারি, তারপর আবার এই পেয়ারের মূল্য বাড়তে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা শুধুমাত্র মার্কিন ডলার বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত, এবং তারা শুধুমাত্র ফেডের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রতি আগ্রহী। যেকোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক পটভূমি নির্বিশেষে পাউন্ডের মূল্য বাড়ছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

সোমবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে, একটি কার্যকর বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, ইতোমধ্যেই রাতের বেলা 100-পিপসের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছিল, তাই উল্লেখযোগ্য বিলম্বের সাথে মার্কেটে এন্ট্রি পয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও, 1.3145-1.3167 এরিয়ার আশেপাশে বিদ্যমান বাই সিগন্যাল দিয়েও লং পজিশন ওপেন করা যেত। এই পেয়ারের মূল্য 1.3225 এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি, তবে কার্যত যেকোন সময়ে সন্ধ্যায় ম্যানুয়ালি ট্রেডটি ক্লোজ করা যেতে পারে।

মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার বা অন্তত একটি উল্লেখযোগ্য কারেকশন দেখতে পাওয়ার বেশ ভাল সম্ভাবনা দেখছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত, আমরা তা বাস্তবে পরিণত হতে দেখিনি। ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ডলার কেনার চেয়ে বিক্রি করার দিকে বেশি ঝুঁকছে। এখন পর্যন্ত, শুধুমাত্র পাউন্ডের মূল্যের দুর্বল বিয়ারিশ কারেকশন দেখা গেছে। এই পেয়ারের মূল্যের পূর্ণাঙ্গ নিম্নমুখী প্রবণতার ব্যাপারে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আজকের মতোই, এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসলিডেট হতে পারে, যা ব্রিটিশ মুদ্রার উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার, এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে পুনরায় দরপতন শুরু হতে পারে। যাইহোক, এটি ব্রেক করা হলে সেটি নতুন লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেবে।

5-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, আপনি বর্তমানে 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3310-এর লেভেল থেকে ট্রেড করতে পারেন। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনও উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে গত সপ্তাহে, মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রবণতা দেখিয়েছে যে তারা ব্রিটিশ প্রতিবেদনের প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।