logo

FX.co ★ ৩ সেপ্টেম্বরে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

৩ সেপ্টেম্বরে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৩ সেপ্টেম্বরে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

সোমবার, GBP/USD পেয়ারের খুব স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে ট্রেড করা হয়েছে এবং এখনও মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন অতিক্রম করতে পারেনি। ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য হ্রাস পাচ্ছে না, যদিও এটির মূল্য দীর্ঘকাল ধরে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে, যা স্বাভাবিকভাবেই যৌক্তিক মুভমেন্টের বিপরীত। সোমবার কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক ইভেন্ট ছিল না, তাই সারা দিনে ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই ছিল না। আমরা ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের আশা করছি, তবে ডলারের ভাগ্য মূলত এই সপ্তাহে প্রকাশিতব্য মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের তথ্যের উপর নির্ভর করবে। অন্যান্য প্রতিবেদনগুলোও ডলারের দর বৃদ্ধিকে সমর্থন যোগাতে বা প্রতিরোধ করতে পারে। প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহ মার্কিন ডলারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসলিডেশন হলে মার্কিন মুদ্রার আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৩ সেপ্টেম্বরে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

সোমবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তিনটি সিগন্যালের ক্ষেত্রেই, মূল্য 1.3145 লেভেল থেকে বাউন্স হয়েছে। তিনটি সিগন্যালের কোনোটিতেই এই পেয়ারের 20 পিপস পর্যন্ত দরপতন ঘটেনি। তিনটি সিগন্যালই পুনরাবৃত্তিমূলক ছিল, তাই শুধুমাত্র একটি শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। এবং এটি থেকে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না, কারণ সারা দিন ধরেও এই পেয়ারের মূল্য 1.3145 লেভেলের উপরে কনসলিডেট হতে পারেনি।

মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:

প্রতি ঘণ্টার টাইম ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে যে বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার কার্যকর সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, কারণ মূল্য কিছুটা অসুবিধার সাথে শুধুমাত্র ট্রেন্ডলাইনে পৌঁছাতে পেরেছে। ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, ডলারের দরপতন হচ্ছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা কেনার এবং ডলার বিক্রি করার প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। এখন পর্যন্ত, পাউন্ডের মূল্যের শুধুমাত্র একটি ছোটখাট বিয়ারিশ কারেকশন দেখা যাচ্ছে, এবং সম্পূর্ণ নিম্নমুখী প্রবণতার সম্পর্কে আলোচনা করার সময় এখনও আসেনি।

মঙ্গলবার, এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে, তবে ট্রেন্ডলাইনটি এখন চুম্বকের পরিবর্তে সাপোর্ট হিসাবে কাজ করে। এই সাপোর্ট থেকে এই পেয়ারের মূল্যের রিবাউন্ডের সম্ভাবনা রয়েছে, যার পরে এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পার। পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের ধরন ধীর এবং দুর্বল হতে পারে।

5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3310। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্যে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগস্ট মাসের ISM সূচক উত্পাদন কার্যকলাপ প্রকাশিত হবে যা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে৷

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

আরো দেখুন: Start Forex trading with a European level broker!

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account