logo

FX.co ★ GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২১ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২১ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২১ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। এমনকি নতুন ট্রেডাররাও এখন গত সপ্তাহ থেকে কোন কারেকশন ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্যের নিরবচ্ছিন্ন বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। গত সপ্তাহের ক্ষেত্রে এটা বলা যেতে পারে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক তথ্য নিয়মিতভাবে ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিরা শেষ পর্যন্ত মূল সুদের হার কমানোর বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। যাইহোক, বর্তমানে, ডলারের দরপতনের কোন যৌক্তিক কারণ নেই। তবুও, মার্কেটে আতংকের সাথে মার্কিন ডলারের বিক্রয় অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের মুভমেন্টের কোনো যৌক্তিকতা নেই। সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল এই পেয়ারের মূল্যের অযৌক্তিক উত্থান আজ হোক কাল হোক শেষ হবে, এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে তখনও অযৌক্তিকভাবে এই পেয়ারের দরপতন শুরু হবে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২১ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে, মঙ্গলবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, মূল্য 1.2980-1.2993 রেঞ্জের উপরে স্থিতিশীল হয়। এই সময়ে, নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন খুলতে পারত। মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে, মূল্য 1.3043 এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছিল, তারপরে একটি উল্লেখযোগ্য রিবাউন্ড হয়েছিল। তখন, লং পজিশন ক্লোজ করা উচিত ছিল, এবং শর্ট পজিশন ওপেন করা উচিত ছিল। দিনের শেষে, এই পেয়ারের মূল্য 15-20 পিপস কমেছে, যা ম্যানুয়ালি ট্রেড ক্লোজ করেও কাজে লাগানো যেতে পারে। 1.2980-1.2993 এরিয়ায় একটি কারেকশনের প্রত্যাশা করে, বুধবারেও এই শর্ত পজিশন ওপেন করে রাখা যেতে পারে।

বুধবারের কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

এক ঘণ্টায় টাইম ফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ভালো সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, যখন ডলারের মূল্য কমে গেছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা ক্রয়ের এবং ডলার বিক্রি করার প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। তারা প্রায়ই পাউন্ডের জন্য যেকোনো প্রতিকূল প্রতিবেদন উপেক্ষা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের শুধুমাত্র ছোটখাটো নিম্নগামী কারেকশন ঘটে।

বুধবার, এই পেয়ারের মূল্যের সামান্য নিম্নগামী পুলব্যাক দেখা যেতে পারে, তবে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা ব্যাহত কোন সম্ভাবনা নেই। 1.2980-1.2993 এর লক্ষ্যমাত্রায় সাথে শর্ট পজিশন বজায় রাখা যেতে পারে।

5M টাইমফ্রেমে বিবেচনাযোগ্য মূল লেভেলগুলো হল 1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। বুধবার, যুক্তরাজ্যে কোন বড় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের সর্বশেষ বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রকাশ করা হবে, যেটিকে মূলত একটি আনুষ্ঠানিক নথি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তাই আজ মার্কেটে কোন উল্লেখযোগ্য সংবাদ থাকবে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account