logo

FX.co ★ মার্কিন খুচরা বিক্রয়ের ইতিবাচক ফলাফল দেশটির অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগ কমিয়েছে

মার্কিন খুচরা বিক্রয়ের ইতিবাচক ফলাফল দেশটির অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগ কমিয়েছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রয় এবং সাপ্তাহিক জবলেস ক্লেইমসের নতুন প্রতিবেদন মার্কিন অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা কমিয়েছে। মূলত উচ্চ সুদের হার কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দার আশংকা বাড়িয়ে দিয়েছিল। এর ফলে ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং জাপানি ইয়েনের বিপরীতে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে। যাইহোক, দিনের শেষের দিকে কারেন্সি পেয়ারগুলো সক্রিয়ভাবে ক্রয় করা হয়েছে, যার ফলে পেয়ারগুলোর দরপতন কিছূটা হলেও পুষিয়ে নেয়া গিয়েছে।

মার্কিন খুচরা বিক্রয়ের ইতিবাচক ফলাফল দেশটির অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগ কমিয়েছে

জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা 1.0% বৃদ্ধি প্রদর্শন করে অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় তিনগুণ বেড়েছে। এটি মার্কিন ভোক্তা খাতের স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে। উল্লেখ্য যে মাসিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল মার্কেটে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল এবং আগামী বছরে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ফলাফল এই ইঙ্গিত দেয় যে দেশটির অর্থনীতি মন্থর হচ্ছে বলে মনে হলেও এটি মন্দার দ্বারপ্রান্তে নেই।

হ্যাঁ, ভোক্তারা তাদের খরচের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন কারণ তারা উচ্চ মূল্য এবং ঋণের খরচের মুখোমুখি হচ্ছেন, কিন্তু সাম্প্রতিক খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনে ভোক্তাদের মধ্যে ব্যয় করার জন্য ধারাবাহিক অভিপ্রায় প্রতিফলিত হচ্ছে। খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনে 13টি বিভাগের মধ্যে 10টিতে বৃদ্ধি পাওয়া গেছে। গাড়ী বিক্রির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ইলেকট্রনিক্স এবং যন্ত্রপাতি বিক্রির হার বেড়েছে। ই-কমার্স বিক্রয় আরও শালীন গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা Amazon.com Inc.-এর প্রাইম ডে এবং ওয়ালমার্ট এবং টার্গেট কর্পোরেশনের অন্যান্য প্রচারণার অংশ হিসাবে এই সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মূল্য ছাড়ের জন্য হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন।

বিনিয়োগকারীরা এখন বাজি ধরছেন যে ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারকরা আগামী মাসের প্রথম দিকে ঋণ নেওয়ার খরচ কমাতে শুরু করবে, কারণ মুদ্রাস্ফীতির চাপ ধীরে ধীরে নমনীয় হচ্ছে।

উপরন্তু, গতকাল প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে যে জুলাই মাসে শিল্প উৎপাদন আরও তীব্রভাবে কমেছে। বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে উপসাগরীয় উপকূলে শোধনাগার কার্যক্রমে হারিকেন বেরিলের আঘাত এই সূচকের 0.6% পতনের প্রধান কারণ। এটা স্পষ্ট যে ফেডারেল রিজার্ভের গত দুই দশকের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চ সুদের হার বজায় রাখার কারণে উৎপাদন খাতে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। পৃথক কারখানার সমীক্ষার ফলাফল আরও হতাশাজনক ছিল। এই প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে নিউইয়র্কে উৎপাদন টানা নবম মাসে হ্রাস পেয়েছে, যখন ফিলাডেলফিয়া ফেডারেল রিজার্ভ অঞ্চলে উৎপাদন কার্যকলাপ জানুয়ারি থেকে প্রথমবারের মতো সংকুচিত হয়েছে।

আমি আগেই উল্লেখ করেছি, এটি মার্কেটে মার্কিন ডলারের ব্যাপক ক্রয়কে প্ররোচিত করেছিল। যাইহোক, ফেডারেল রিজার্ভ এখনও এই বছরের সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমাতে ইচ্ছুক তার ভিত্তিতে মার্কেটে বিভিন্ন অ্যাসেটের মূল্য নির্ধারণ অব্যাহত রয়েছে, যে সুযোগটি ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের ক্রেতারা সদ্ব্যবহার করেছিল, যারা মূল্য আরও আকর্ষণীয় লেভেলে থাকা অবস্থায় অ্যাসেটগুলো কিনেছিল।

EUR/USD পেয়ারের প্রযুক্তিগত পূর্বাভাস

EUR/USD-এর বর্তমান প্রযুক্তিগত চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1020 এর লেভেলে পুনরুদ্ধার করার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। শুধুমাত্র এটি করা গেলে মূল্যের 1.1050 এর লেভেলের টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। সেখান থেকে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1080 এ পৌঁছাতে পারে, কিন্তু প্রধান ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হল 1.1110 এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি ক্রেতাদের কাছ থেকে শুধুমাত্র 1.0985 এর লেভেলের কাছাকাছি ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের আশা করছি। যদি সেখানে কোনো কার্যকলাপ না থাকে, তাহলে 1.0950 এর লো বা 1.0910 লেভেল থেকে লং পজিশন খোলার জন্য অপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

GBP/USD পেয়ারের প্রযুক্তিগত পূর্বাভাস

GBP/USD পেয়ারের বর্তমান প্রযুক্তিগত চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে 1.2885-এ নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেলে নিয়ে যেতে হবে। শুধুমাত্র এটি করা গেলে মূল্যের 1.2910 এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার সুযোগ পাওয়া যাবে, যা ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্য হল 1.2940 এরিয়া, যার পরে আমরা 1.2975 এর দিকে পাউন্ডের মূল্যের তীক্ষ্ণ র্যালি সম্পর্কে কথা বলতে পারি। দরপতনের ক্ষেত্রে, বিক্রেতাদের 1.2860 এর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। এতে সফল হওয়া গেলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানে মারাত্মক আঘাত হানবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2800-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনার সাথে সর্বনিম্ন 1.2830-এর দিকে নেমে যেতে পারে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account