সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবারের জন্য বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্টের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইউরোজোনের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার তেমন কিছু নেই, কিন্তু আজ যুক্তরাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, যেহেতু মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায়শই এই ধরনের প্রতিবেদনগুলো উপেক্ষা করে থাকে, তবে পূর্বাভাসের তুলনায় প্রকৃত ফলাফলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যের ক্ষেত্রে আমরা মার্কেটে সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখতে পারি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, খুচরা বিক্রয়, শিল্প উৎপাদন, এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত তুলনামূলক কম উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা উভয় কারেন্সি পেয়ার ক্রয় করছে, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল পরিলক্ষিত হলে সেটি নতুন করে ডলারের দরপতন শুরু করতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে শুধুমাত্র ফেডারেল রিজার্ভ প্রতিনিধি প্যাট্রিক হার্কারের বক্তৃতার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। যাইহোক, এই সপ্তাহে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর, হারকার ট্রেডারদের বোঝাতে সক্ষম হবেন যে ফেড এখনও মূল সুদের হারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। মার্কেটের ট্রেডাররা একরকম নিশ্চিত যে সেপ্টেম্বরে সুদের হার শুধুমাত্র কমবেই না বরং 0.5% কমবে। শুধুমাত্র এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করে, ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
উপসংহার:
এ সপ্তাহের শেষের দিকের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সামান্য পুলব্যাক দেখা যেতে পারে। যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে আজ মোট পাঁচটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তাই মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফল আবার হতাশাজনক হলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই বাড়তে পারে, যেমনটি গত চার মাস দেখা যাচ্ছে। উপরন্তু, মার্কেটের ট্রেডাররা দৃঢ়ভাবে আস্থাশীল যে ফেড সেপ্টেম্বরে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ শুরু করবে। বর্তমানে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।