logo

FX.co ★ EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৫ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৫ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৫ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বুধবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে, ইউরোর মূল্যের টেকসই বৃদ্ধি সমর্থন করার জন্য নির্দিষ্ট কোন কারণের প্রয়োজন ছিল না। যদি একদিন আগে, মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচকের উপর ভিত্তি করে এই পেয়ার কিনে থাকে (ট্রেডাররা সফলভাবে এই সু্যোগের সদ্ব্যবহার করেছে), তবে বুধবার সকালে, ইউরো কেনার কোন কারণ ছিল না। ইউরোজোনে প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন পূর্বের প্রারম্ভিক অনুমানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে নিম্নমুখী ছিল। যাইহোক, প্রায় ক্ষেত্রেই, মার্কেটের ট্রেডাররা ইউরোর জন্য প্রতিকূল প্রতিবেদন উপেক্ষা করে এবং পিপিআই-এর মতো ইতিবাচক প্রতিবেদনের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায়, যে সূচকে পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। বিকেলে প্রকাশিত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে 0.1% হ্রাস পরিলক্ষিত হয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। এটি মার্কেটে ডলার বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করে। শুধুমাত্র 1.1043 লেভেলের আশেপাশে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট থেমে যায়, কিন্তু এখন আমরা এই পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ও দৃঢ় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৫ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বুধবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1011 এর লেভেল অতিক্রম করে, তারপরে সেখান থেকে বাউন্স করে, পরবর্তীতে মূল্য 1.1043 লেভেল পৌঁছে এবং সেখান থেকেও বাউন্স করে। নতুন ট্রেডাররা 1.1011 লেভেলের চারপাশে লং পজিশন খুলতে পারতেন, 1.1043-এর কাছাকাছি এই লং পজিশন ক্লোজ করতে পারতেন, সেই লেভেলের আশেপাশে শর্ট পজিশন খুলতে পারতেন, এবং তারপর 1.1011-এর কাছাকাছি শর্ট পজিশন থেকে মুনাফা নিতে পারতেন। মোট লাভের পরিমাণ ছিল 40 পিপস।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে যা একটি ট্রেন্ড লাইন দ্বারা সমর্থিত। আমরা মনে করি যে ইউরোর ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কারণগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে, তাই আমরা দৃঢ় ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি না। 24-ঘণ্টার টাইম ফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য 1.06-1.10 এর ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে। যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা আবার এই প্রবণতা দেখিয়েছে যে তারা আতংকিত হয়ে ডলার বিক্রি করে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির পতন মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। অতএব, যদিও প্রত্যাশা এক জিনিস আর বাস্তবতা আরেক জিনিস, তাই বর্তমান প্রযুক্তিগত চিত্র উপেক্ষা করা উচিত নয়। ট্রেন্ড লাইনের নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হওয়ার পরে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1011 লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয় তাহলে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, ইউরোর মূল্য 1.0971 এ নেমে যেতে পারে।

5M টাইম ফ্রেমে বিবেচনা করার মতো মূল লেভেলগুলো হল 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1043, 1.1091। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোনে কোনও নির্ধারিত ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শিল্প উৎপাদন, খুচরা বিক্রয় এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত তুলনামূলক স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account