logo

FX.co ★ GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১৩ আগস্ট; এখনও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের অনিশ্চিত পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১৩ আগস্ট; এখনও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের অনিশ্চিত পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১৩ আগস্ট; এখনও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের অনিশ্চিত পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কোনো আকর্ষণীয় মুভমেন্ট দেখা যায়নি। এটি আশ্চর্যজনক ছিল না, কারণ সারা দিন কোনও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, এছাড়া কোন ইভেন্ট বা সংবাদও ছিল না। মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এমন কিছুই ছিল না। অন্যদিকে, এই সপ্তাহে বিশেষ করে GBP/USD পেয়ার সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব, জিডিপি এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো মার্কেট সেন্টিমেন্টে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না, তবে এগুলোর ফলাফলের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দেয়া উচিত।

আমরা বিশ্বাস করি এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট ব্যাপকভাবে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যানের উপর নির্ভর করবে। মার্কেটের ট্রেডাররা সবসময় জিডিপি এবং বেকারত্বের পরিসংখ্যানের প্রতি তেমন একটা প্রতিক্রিয়া দেখায় না। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালাই ট্রেডারদের মনোযোগ দখল করে আছে। পরিস্থিতি বেশ স্পষ্ট, অন্তত প্রথম নজরে তাই মনে হচ্ছে। যদি যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায় (বর্তমানে ট্রেডাররা যেমনটি প্রত্যাশা করছে), তাহলে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার আরও বেশি কারণ থাকবে। এই ক্ষেত্রে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমাতে তাড়াহুড়ো করবে না।

আমরা পূর্ববর্তী নিবন্ধগুলোতে উল্লেখ করেছি যে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিষেবা খাতের মুদ্রাস্ফীতি এবং মূল মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। তাই, যদি মূল মুদ্রাস্ফীতিও বেড়ে যায়, তাহলে তারা মুদ্রানীতিমালার নমনীয়করণে বিরতি নিতে পারে।

মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে বিপরীত ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি মুদ্রাস্ফীতির সামান্য পতনও (পূর্বাভাস অনুযায়ী) ডলারের দরপতন শুরু করতে পারে, যেমনটি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কয়েকবার দেখা গেছে। মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে এই আস্থা বেড়ে উঠবে যে ফেড সেপ্টেম্বরে মূল সুদের হার কমিয়ে দেবে। সুতরাং, এই দুটি প্রতিবেদন এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণ করবে। দুর্ভাগ্যবশত, এই প্রতিবেদনের ফলাফল আগে থেকে অনুমান করা অসম্ভব। অতএব, সপ্তাহের শেষ নাগাদ এই পেয়ার কোথায় ট্রেড করবে তার পূর্বাভাস দেওয়াও অর্থহীন।

আমরা মধ্যমেয়াদে ব্রিটিশ মুদ্রার স্থিতিশীল দরপতনের আশা করছি কারণ আমরা এখনও এটিকে অতিরিক্ত ক্রয়কৃত এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল বলে মনে করি। 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে, ক্রিটিক্যাল লাইনের নিচে এই পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত রয়েছে, কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহের সমস্ত নিম্নগামী মুভমেন্টকে গত বছরের পুরো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের মতোই একটি "কারেকশন" হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন আর এই পেয়ারের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলছে না। গণমাধ্যম ইতোমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একরকম বিজয়ী হিসেবে ভূষিত করেছিল, তারপরে জো বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং হোয়াইট হাউসের চাবি কমলা হ্যারিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রেও, সুদের হারের মতো, প্রত্যেকের নিজস্ব পূর্বাভাস রয়েছে। সুতরাং এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা অর্থহীন বলে মনে হচ্ছে।

আরো দেখুন: Start Forex trading with a European level broker!

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১৩ আগস্ট; এখনও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের অনিশ্চিত পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে

গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD-এর মূল্যের গড় অস্থিরতা হল 72 পিপস। এটি এই পেয়ারের জন্য একটি গড় মান হিসাবে বিবেচিত হয়। অতএব, ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার, আমরা 1.2687 এবং 1.2831 দ্বারা সীমিত রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের আশা করছি। লিনিয়ার রিগ্রেশনের আপার চ্যানেলটি উপরের দিকে যাচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। সিসিআই সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে এবং একটি বুলিশ ডাইভারজেন্স তৈরি করেছে। এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এই সপ্তাহে এটি চলমান থাকতে পারে।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:

  • S1 – 1.2756
  • S2 – 1.2726
  • S3 – 1.2695

নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:

  • R1 – 1.2787
  • R2 – 1.2817
  • R3 – 1.2848

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

GBP/USD পেয়ারের মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের আশেপাশে রয়েছে এবং এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ মোমেন্টাম ধরে রাখার ভালো সুযোগ রয়েছে। আমরা এখন লং পজিশন বিবেচনা করছি না, কারণ আমরা মনে করি যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সবগুলো কারণ একাধিকবার কাজে লাগিয়েছে (যা খুব বেশি নয়)। মূল্য মুভিং এভারেজের নিচে স্থির হওয়ার পরে শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। সিসিআই সূচকের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই সপ্তাহে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে কারেকশনের উপর কাজ করবে কিনা সে বিষয়ে ট্রেডারদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পাওয়ার বেশ ভাল সুযোগ থাকবে।

চিত্রের ব্যাখা:

  • লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
  • মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
  • মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
  • অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
  • সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।
* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account