logo

FX.co ★ EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ৬ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ৬ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ৬ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

সোমবার আবারও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এবার ডলারের সমস্যাটি বেশ জটিল হয়েছে। মার্কিন গ্রিনব্যাকের আরও দরপতন হয়েছে, যদিও সর্বশেষ মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের হতাশাজনক প্রতিবেদনের পর শুক্রবার ডলারের বাজারে ধস নামে। যাইহোক, সপ্তাহান্তে, মার্কেটে এই তথ্য আসতে শুরু করে যে ফেডারেল রিজার্ভ 2024 সালে অর্থনৈতিক মন্দার উচ্চ সম্ভাবনার কারণে কয়েকবার মূল সুদের হার কমাতে পারে এবং 0.5% হার কমানোর জন্য আগস্টে একটি জরুরি বৈঠকেও বসতে পারে। এই তথ্য এবং মার্কেটে চলমান আতঙ্ক ডলারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে। আমাদের মতে, আতঙ্ক কেবলই আতঙ্ক, এবং এটি কোন যৌক্তিক বা মানসম্মত কিছু বয়ে নিয়ে আসে না। উদাহরণস্বরূপ, মঙ্গলবার ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট পুনরুদ্ধার করছে। সুতরাং, মার্কিন ডলারও পুনরুদ্ধার করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা সংক্রান্ত আলোচনা গত বছরই শুরু হয়েছিল, তবুও মার্কিন অর্থনীতি ইইউ, যুক্তরাজ্য এবং বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হারে প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ৬ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

সোমবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে অনেকগুলো সিগন্যাল তৈরি হয়েছে। এটি 1.0888-1.0896 থেকে একটি রিবাউন্ডের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, যার পরে এই পেয়ারের মূল্য বেড়ে 1.0971 এ পৌঁছেছে, যার ফলে লং পজিশন ওপেন করা এবং লাভ করা সম্ভব হয়। 1.0971 লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করার ফলে এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায় এবং মুনাফা করা সম্ভব হয়। 1.0940 থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে লং পজিশন ওপেন করে এবং 1.1011 থেকে কাজ করে লাভ হয়। 1.1011-এর লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করে 1.0971 স্তর থেকে কাজ করে লাভ করা গেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, যখনই এই পেয়ারের মূল্যের কার্যকর মাত্রা অস্থিরতা শুরু হয়, তখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ইতিবাচক সিগন্যাল তৈরি হতে শুরু করে।

মঙ্গলবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টায় EUR/USD পেয়ারের মূল্য বেড়েছে এবং নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে। আমরা মনে করি যে ইউরোর ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কারণগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার আশা করছি না। হ্যাঁ, মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল শুক্রবারে আবার ডলারের দরপতন ঘটিয়েছে, তবে এর মানে এই নয় যে প্রতিদিন মার্কিন গ্রিনব্যাকের দরপতন হবে। 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে 1.06 এবং 1.10-এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জ দেখা যাচ্ছে। এখনও এই পেয়ারের মূল্যের এই রেঞ্জ ছাড়ার কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না। মার্কেটে এখন আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা থেকে ট্রেড করতে পারে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিগন্যালের গঠনের সাথে বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের ভাল মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা হ্রাস পেতে পারে, এবং শুক্রবার একটি বিয়ারিশ কারেকশনের সম্ভাবনা আছে।

5M টাইমফ্রেমে বিবেচনা করার মতো মূল লেভেলগুলো হল 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1043, 1.1091 মঙ্গলবার শুধুমাত্র ইইউ থেকে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমরা এখনও মার্কিন ডলারের পুনরুদ্ধারের আশা করছি।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account