logo

FX.co ★ GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১ আগস্ট; ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠক: দরপতনের মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছে?

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১ আগস্ট; ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠক: দরপতনের মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছে?

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১ আগস্ট; ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠক: দরপতনের মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছে?

বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কোন আকর্ষণীয় মুভমেন্ট দেখা যায়নি। ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন EUR/USD পেয়ারের মূল্যকে প্রভাবিত করলেও, GBP/USD পেয়ারের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ছিল না। ফলে, ফেডারেল রিজার্ভের সভার ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এই পেয়ার সারা দিন সাইডওয়েজ ট্রেডিং করেছে (যে সম্পর্কে আমরা এই নিবন্ধে আলোচনা করব না)।

এটি লক্ষণীয় যে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা শুধুমাত্র ইউরোর সমস্যা নয়। প্রায় পুরো মার্কেটে বর্তমানে এমনভাবে ট্রেড করা হচ্ছে যেন ট্রেডাররা কোনো বড় ইভেন্টের জন্য অপেক্ষা করছে। যাইহোক, ট্রেডাররা যে কিসের জন্য অপেক্ষা করছে তা জেনে আমাদের খুব একটা লাভ হবে না। ট্রেডাররা ট্রেড করতে চায়—সপ্তাহে একবার নয়, তারা প্রতিদিন ট্রেড করতে চায়। বাজার পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের এই সুযোগ দিচ্ছে না।

আজ ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে; আগামীকাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নন-ফার্ম পেরোল এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমরা আশা করছি মার্কেটে এই "অচলাবস্থার" অবসান ঘটবে এবং কিছু মুভমেন্ট শুরু হবে। যাইহোক, এই সপ্তাহে ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া উস্কে দেয়নি। অতএব, আজও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা গেলে আমরা অবাক হব না। ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভার ফলাফল ঘোষণা করা হবে মার্কেটে ট্রেডিং কার্যক্রম কিছুটা বাড়বে। প্রায় যেকোনো ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। আমরা মনে করি যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত মার্কেটের নির্দিষ্ট অংশের ট্রেডারদের অবাক করবে। যদি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমায় (বর্তমানে সরকারী পূর্বাভাস অনুযায়ী), এটি পাউন্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করবে কারণ অনেকেই পহেলা আগস্টে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সম্ভাবনায় আস্থা রাখছেন না। যদি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার না কমায়, পাউন্ডের মূল্য বাড়বে কারণ কিছু ট্রেডার ইতোমধ্যে সুদের হার হ্রাসের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।

আমাদের মতে, যে কোনো অবস্থাতেই ইউরোর মতোই ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকা উচিত। এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি সূচক। ইউরোজোনে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সিপিআই বা ভোক্তা মূল্য সূচকের পতন থেমে গিয়েছে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য একটি সমস্যা। একইভাবে, যুক্তরাজ্যেও মুদ্রাস্ফীতির পতন থেমে যেতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। অতএব, মুদ্রাস্ফীতি আরও না কমাই ভাল।

যুক্তরাজ্যের মূল মুদ্রাস্ফীতি এবং পরিষেবা খাতের মুদ্রাস্ফীতি শেষ পর্যন্ত শিরোনাম মুদ্রাস্ফীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। যাইহোক, যদি শিরোনাম মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে 2% এর নিচে নেমে যায়, তবে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিম্ন মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা সমাধান করতে হবে। এটি লক্ষণীয় যে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য মুদ্রাস্ফীতি কঠোরভাবে 2% এর কাছাকাছি থাকার উচিত। অন্তত, ফেড, ইসিবি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এমনটাই মনে করে। মার্কিন ডলারের জন্য ইতিবাচক থাকা সকল ইভেন্ট এবং খবর উপেক্ষা করে ব্রিটিশ পাউন্ড কয়েক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ট্রেড করছে। অতএব, যেকোনো অবস্থাতেই পাউন্ডের মূল্য বাড়বে সেটি আমরা আশা করি না। যাইহোক, 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে, মূল্য এখনও ইচিমোকু সূচকের কিজুন-সেন লাইনকে অতিক্রম করতে পারেনি। অন্ততপক্ষে, একটি বুলিশ রিবাউন্ডের সম্ভাবনা রয়েছে, তারপরে এই লাইনটি অতিক্রম করার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা চালানো হবে।

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১ আগস্ট; ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠক: দরপতনের মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছে?

গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতা হল 51 পিপস। পাউন্ড/ডলার পেয়ারের জন্য এটি বেশ কম মান হিসেবে বিবেচিত হয়। বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, আমরা 1.2783 এবং 1.2885 লেভেল দ্বারা সীমিত রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের আশা করছি। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি উপরের দিকে যাচ্ছে, যা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতার সংকেত দেয়। সিসিআই সূচকটি দুবার ওভারবট জোনে প্রবেশ করেছে, যা চলমান প্রবণতার সম্ভাব্য বিপরীতমুখী হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও, একটি বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স তৈরি হয়েছে।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:

  • S1 – 1.2817
  • S2 – 1.2787
  • S3 – 1.2756

নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:

  • R1 – 1.2848
  • R2 – 1.2878
  • R3 – 1.2909

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

GBP/USD পেয়ার মুভিং এভারেজ লাইনের নিচে ট্রেডিং চালিয়ে যাচ্ছে এবং বাস্তবিক অর্থে এই পেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতনের সুযোগ রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে এই পেয়ারের শর্ট পজিশন প্রাসঙ্গিক রয়েছে, যার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2787 এবং 1.2776। এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ কারেকশন ঘটতে পারে, যার পরে দরপতন আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা এই মুহূর্তে লং পজিশন বিবেচনা করছি না, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রার সমস্ত বুলিশ ফ্যাক্টর নিয়ে (যা খুব বেশি নয়) ইতোমধ্যেই একাধিকবার কাজ করেছে। এমনকি যদি পাউন্ডের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়, তারপরও এই ধরনের মুভমেন্টে কোন যৌক্তিকতা থাকবে না।

চিত্রের ব্যাখা:

  • লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
  • মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
  • মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
  • অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
  • সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।
* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account