মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের দরপতন বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এই পেয়ারের মূল্য আবারও 1.0726 এর লেভেল টেস্ট করেছে। এই লেভেল থেকে মূল্যের আরেকটি রিবাউন্ড মার্কেটে সম্ভাব্য বুলিশ কারেকশন নির্দেশ করবে। সামগ্রিকভাবে, ধীরে ধীরে ইউরোর দরপতন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সপ্তাহের প্রথম উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা খুবই কম রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে তিনটি সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে যা ট্রেডারদের মনোযোগের দাবি রাখে। ইউরোপীয় জিডিপি +0.2% পূর্বাভাসের বিপরীতে 0.3% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে, জার্মানির জিডিপি +0.1% পূর্বাভাসের বিপরীতে 0.1% দ্বারা সংকুচিত হয়েছে এবং জার্মানির মূল্যস্ফীতি 2.2% পূর্বাভাসের বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়ে 2.3% এ পৌঁছেছে। সুতরাং, গতকাল ইউরো দরপতনের পরিবর্তে দর বৃদ্ধি প্রদর্শন করলে সেটি আরও বেশি যৌক্তিক হত। তবুও, হরিজন্টাল চ্যানেল 1.0600-1.1000 এর আপার জোন টেস্ট করার পরে, 1.06 লেভেলে দরপতনকে সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মার্কেটে এখন সামষ্টিক অর্থনীতি এবং মৌলিক পটভূমি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, ট্রেডাররা এখন বিক্রির এই পেয়ার দিকে ঝুঁকছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সংকেত গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0838 লেভেলে থেকে সামান্য ব্যবধানে ত্রুটির সাথে রিবাউন্ড করে, তারপর মূল্য 1.0797-1.0804-এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় নেমে আসে এবং এখান থেকে বাউন্স করে। প্রথম শর্ট পজিশনটি প্রায় 15 পিপসের লাভের সাথে ক্লোজ হয়ে যায় এবং দ্বিতীয় বাই সিগন্যাল ব্যবহার করে একটি লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, যা বুধবার পর্যন্ত হোল্ড করে রাখা যেতে পারে।
বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে স্থির হয়, এটি নতুন করে স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করার সুযোগ দেয়। আমরা মনে করি ইউরোর ট্রেডাররা সমস্ত বুলিশ ফ্যাক্টরগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে, তাই এখন একটি উল্লেখযোগ্য কারেকশন হওয়া প্রয়োজন। যাইহোক, 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সবচেয়ে ভালভাবে দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য 1.0600 এবং 1.1000 এর মধ্যে অবস্থিত একই ফ্ল্যাট রেঞ্জে মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম রয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা মূলত সামষ্টিক প্রতিবেদন এবং ইভেন্টগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে।
বুধবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0838 এর লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন ওপেন করতে পারে তবে মনে রাখবেন যে বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম রয়েছে, এমনকি সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমিও সাহায্য করছে না।
5M টাইমফ্রেমে বিবেচনা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। আজ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি গুরুত্বসম্পন্ন ADP থেকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এটা মনে হতে পারে যে আজ কয়েকবার এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু বাস্তবে, আমরা একই ধরনের দুর্বল মুভমেন্ট দেখতে পারি।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।