logo

FX.co ★ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কি সুদের হার কমাবে?

ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কি সুদের হার কমাবে?

ব্রিটিশ পাউন্ড একটি কঠিন অবস্থানে রয়েছে কারণ অনেক ট্রেডার এই সপ্তাহে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড থেকে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছেন। বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে এই বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে দেবে। বর্তমান দেশটির মূল সুদের হার 5.25%।

পূর্ববর্তী আর্থিক নমনীয়করণ চক্রের বিপরীতে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এই বছর এবং আগামী বছর গতি লাভ করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির চাপের ঝুঁকি তৈরি করবে। মে মাস থেকে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির নীরবতা বিশ্লেষকদের এই অনুমান করতে বাধ্য করেছে যে নয় সদস্যের মুদ্রা নীতি কমিটির সদস্যরা এই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে 16 বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সুদের হার ক্রমবর্ধমান মজুরি এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঝুঁকির মধ্যে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধা দিতে পারে৷

ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কি সুদের হার কমাবে?

এটা স্পষ্ট যে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড ভবিষ্যতের সুদের হারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা দিতে বা টেকসইভাবে সুদের হার কমানোর চক্র শুরু করার সংকেত দেওয়ার সম্ভাবনা কম। এটি ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীদের আসন্ন প্রতিবেদনের উপর দৃষ্টি দিতে বাধ্য করবে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের ক্ষেত্রে ঘটছে।

এমনকি যদি ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড বৃহস্পতিবার সুদের হার কমায়, মার্কেটের ট্রেডার বা বিশ্লেষকরা কেউই আশা করেন না যে এটি দ্রুত আরও কমিয়ে আনা হবে। বিনিয়োগকারীরা এই বছর মাত্র দুইবার পচিশ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানোর ভিত্তিতে পাউন্ডের সাথে পেগ করা ইন্সট্রুমেন্টের মূল্য নির্ধারণ করেছে, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে যে বৃহস্পতিবারে সুদের হার কমানো হলে তা এখনও সীমাবদ্ধ আর্থিক নীতিমালা বজায় রাখবে।

কিভাবে এগিয়ে যেতে হবে তা নিয়েও ব্যাংকটির সদস্যগণ বিভক্ত হতে পারে, কিছু অর্থনীতিবিদ সুদের হার কমানোর পক্ষে চার-পাচটি ভোটের আশা করছেন। চিফ ইকোনমিস্ট হু পিল, সেইসাথে জোনাথন হাস্কেল এবং ক্যাথরিন মান সহ কিছু কর্মকর্তা সম্প্রতি ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি চাপের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, বিশেষ করে তারা পরিষেবার মূল্যস্ফীতি এবং মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করছেন। সুতরাং তারা সুদের হার না কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

অর্থনীতিবিদরা লক্ষ্য করেছেন যে যুক্তরাজ্যে ভবিষ্যত সুদের হার হ্রাসের বিষয়ে একটি সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের প্রতিধ্বনি করবে, যা জুনে নীতিমালা নমনীয় করার পরে এই মাসের শুরুতে সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছিল। ট্রেডাররা ইউরোজোনে শুধুমাত্র সেপ্টেম্বরে আরেকবার সুদের হার কমানোর দিকে ঝুঁকেছেন।

শ্রম বাজারের অবস্থাও সুদের হার কমানোর বিষয়টি সমর্থন করছে, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বেকারত্ব 200,000 থেকে 4.4% বেড়েছে এবং শূন্যপদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

GBP/USD-এর বর্তমান প্রযুক্তিগত পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গেলে, ক্রেতাদের মূল্যকে 1.2875-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। এটি 1.2910 এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার সুযোগ দেবে, যে লেভেলটি ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2935 এর আশেপাশের এরিয়া, যার পরে 1.2970-এর দিকে তীক্ষ্ণ দর বৃদ্ধির আশা করা যেতে পারে। দরপতনের ক্ষেত্রে, বিক্রেতারা 1.2850 এর উপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে সাফল্যের ক্ষেত্রে, এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানে একটি উল্লেখযোগ্য ধাক্কা দেবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.2830-এর সর্বনিম্নে ঠেলে দেবে, যারপর মূল্যের 1.2800-এর দিকে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

EUR/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের মূল্যকে 1.0870 লেভেল নেওয়ার উপর নজর দিতে হবে। এটি 1.0895 এর লেভেলের টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার সুযোগ দেবে। সেখান থেকে, মূল্য 1.0920-এ উঠতে পারে, কিন্তু বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা চ্যালেঞ্জিং হবে। দূরতম লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0940 এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি 1.0845 এর কাছাকাছি উল্লেখযোগ্য বুলিশ কার্যকলাপের আশা করি। যদি সেখানে কোন বড় ক্রেতা না থাকে, তাহলে মূল্যের 1.0825-এ নতুন নিম্নে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা বা 1.0805 থেকে লং পজিশন ওপেন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account