logo

FX.co ★ EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৬ জুলাই: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৬ জুলাই: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৬ জুলাই: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বৃহস্পতিবার একটি সংকীর্ণ রেঞ্জে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। গতকাল কমপক্ষে দুটি যুক্তিসঙ্গতভাবে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করা সত্ত্বেও, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বাড়েনি, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রেডিংয়ে সামান্য আগ্রহ দেখিয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে মার্কিন জিডিপি 2.8% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে, যা 2.0-2.5% এর পূর্বাভাস এবং প্রথম প্রান্তিকের 1.4% এর পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। দ্বিতীয়ত, ফেডারেল রিজার্ভ অর্থনৈতিক মন্দার ভয় ছাড়াই সুদের হার সর্বোচ্চ স্তরে রাখতে পারে। যাইহোক, অনুকূল পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পায়নি। হ্যাঁ, জুনে ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন মার্কেটের ট্রেডারদের হতাশ করেছে, যা -6.6% এর মান প্রদর্শন করেছে, যা পূর্বাভাসের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে নিম্নমুখী। কিন্তু কোন সূচকটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ? সমগ্র অর্থনৈতিক অবস্থা নাকি শুধু টেকসই পণ্য বিক্রি?

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৬ জুলাই: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

আমরা 5 মিনিটের টাইমফ্রেমের মধ্যে কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল চিহ্নিত করতে পারিনি। উপরের চার্টটিতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে এই পেয়ারের মূল্য দিনের বেশিরভাগ সময় 1.0838 এবং 1.0856 এর লেভেলের মধ্যে ব্যয় করেছে। মূল্য এই লেভেলের মধ্যে থাকা অবস্থায় ট্রেডিং করা অর্থহীন ছিল। মূল্য এই রেঞ্জের নিচে বা তার উপরে স্থির হওয়ার পরেও কোন ট্রেড ওপেন করার কোনও মানে হয় না, কারণ অস্থিরতার বর্তমান মাত্রা উদ্দেশ্যমূলক দিকে শক্তিশালী মুভমেন্ট আশা করার সুযোগ দেয় না এবং বিপরীত লেভেলের বাইরে স্টপ লস সেট করতে হবে। ঝুঁকি/লাভের অনুপাত প্রাথমিকভাবে খুবই কম ছিল।

শুক্রবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

এক ঘন্টার টাইমফ্রেমের মধ্যে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডীং চ্যানেলের নিচে স্থির হয়েছে, যা নতুন করে স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করার সুযোগ দেয়। আমাদের মতে, ইউরোর ট্রেডাররা সবগুলো বুলিশ ফ্যাক্টরকে সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়েছে, তাই একটি উল্লেখযোগ্য কারেকশন হওয়া দরকার। যাইহোক, 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমের মধ্যে সবচেয়ে ভালভাবে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের ধরন দেখা যাচ্ছে। সেখানে 1.0650 এবং 1.1000 এর মধ্যে একই ফ্ল্যাট রেঞ্জ পরিলক্ষিত হচ্ছে। গতকাল, ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান রাখার একটি দুর্দান্ত সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রাও কম রয়েছে।

শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা আবার 1.0838-1.0856 এরিয়া থেকে ট্রেড করার চেষ্টা করতে পারে। আজকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট থাকলেও গতকাল আমরা দেখেছি কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট থাকা সত্ত্বেও সেগুলোর প্রভাবে শক্তিশালী মুভমেন্ট শুরু হয় না। আমরা আশা করছি যে কিছু সময়ের জন্য এই পেয়ারের মূল্য উপরের দিকে যাবে, যার পরে আবার দরপতন শুরু হতে পারে।

5M টাইমফ্রেমের বিবেচনা করার মতো মূল লেভেলগুলো হল 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। শুক্রবার ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্টের পরিকল্পনা নেই, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত আয় এবং ব্যয়, ব্যক্তিগত খরচের মূল্য সূচক এবং মিশিগান ভোক্তা অনুভূতি সূচকের সংক্রান্ত স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account