গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফলের মধ্যেও ডলারের মূল্য স্থিতিশীল ছিল। একদিকে, ইউরোজোনের শিল্প উৎপাদনের পতনের হার -3.1% থেকে -2.9% পর্যন্ত কমেছে, যা ডলারের মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করা উচিত ছিল। সর্বোপরি, এই সূচকের মন্থরতা সত্ত্বেও, এটি -3.0% থেকে -2.0%-এ বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল৷ কিন্তু ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েলের বিবৃতির কারণে এই প্রতিবেদনের প্রভাব মার্কেটে পরেনি। পাওয়েল জানিয়েছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির গতিশীলতা 2.0% এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নেমে আসছে যা ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির মন্থরতা নির্দেশ করে। অন্য কথায়, ফেডের প্রধান প্রায় সরাসরি বলেছেন যে সুদের হার কমানো হচ্ছে। এবং স্বাভাবিকভাবেই, এটি ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
আজ, মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের উপর দৃষ্টি দিতে পারে, যার বৃদ্ধির হার 2.3% থেকে 2.1%-এ ধীর হওয়া উচিত। তাই ডলার কিছুটা দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি সেটি না ঘটে, অবশ্যই, কিছু নতুন প্রতিবেদন আছে যা মার্কেটকে প্রভাবিত করতে পারে।
ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সময়, স্থানীয়ভাবে EUR/USD পেয়ারের মূল্য সেই লেভেলে গিয়েছিল যা বসন্তের শুরুতে দেখা গিছিল, যা লং পজিশনের প্রতি ট্রেডারদের বিদ্যমান আগ্রহকে নির্দেশ করে।
4-ঘন্টার চার্টে, RSI প্রযুক্তিগত নির্দেশক 50/70 এর উপরের অংশে ঘোরাফেরা করছে, যা ইঙ্গিত করে যে ইউরোর মূল্য আরও বাড়তে পারে।
একই চার্টে, অ্যালিগেটরের এমএগুলি উপরের দিকে রয়েছে, যা এই পেয়ারের কোটের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রতিফলিত করে।
পূর্বাভাস
এই পেয়ারের মূল্য 1.0900 এর লেভেলের উপরে থাকলে লং পজিশনের ভলিউম বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে, ইউরোর মূল্য 1.1000 এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলের দিকে যেতে পারে। অন্যথায়, 1.0900 এর এরিয়া রেজিস্ট্যান্স হিসাবে কাজ করবে, যা এই পেয়ারের মূল্যের অস্থায়ী স্থবিরতা বা পুলব্যাকের দিকে নিয়ে যাবে।
বিস্তারিত সূচক বিশ্লেষণ উন্মোচন করেছে যে স্বল্পমেয়াদী এবং দৈনিক ভিত্তিতে, সূচকগুলো এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বগামী হওয়ার সংকেত প্রদান করছে।