logo

FX.co ★ EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১২ জুলাই: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১২ জুলাই: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১২ জুলাই: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের বেশ অস্থির মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যদিও এটি আশ্চর্যজনক ছিল না। আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি যে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রকাশনা সপ্তাহের মূল ইভেন্ট হবে। উপরন্তু, আমরা এটাও বলেছি যে যদি দেশটির মুদ্রাস্ফীতি পূর্বাভাসের সীমার মধ্যে নেমে আসে তাহলে ডলারের দাম কমতে পারে। শেষ পর্যন্ত, মূল এবং প্রধান মুদ্রাস্ফীতি সূচক উভয়ই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে এবং ডলারের ব্যাপক দরপতন হয়েছে।

এটা মনে হতে পারে যে ডলারের দরপতন যৌক্তিক ছিল, এবং গত দুই সপ্তাহ ধরে, এটাই ঘটেছে। যাইহোক, এক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করে চলেছে যে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়ার খরচ কমাতে শুরু করেছে, যখন ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানো শুরু করবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি 3% এ নেমে এসেছে, তবে এটিও উল্লেখ করা উচিত যে সুদের হার কমানো শুরু করার জন্য এটি যথেষ্ট নয়। অতএব, ইউরোর দর বৃদ্ধি যৌক্তিক বিবেচনা করা যেতে পারে, কিন্তু সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে হবে। প্রযুক্তিগতভাবে, একটি অ্যাসেন্ডীং চ্যানেল রয়েছে, তাই যতক্ষণ না এই পেয়ারের মূল্য এই চ্যানেলের নিচে কনসলিডেট হয়, ততক্ষণ এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্টের আশা করা অর্থহীন হবে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১২ জুলাই: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশের সময় প্রথম বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল এবং এটি নিয়ে কাজ করা অসম্ভব ছিল। 1.0888-1.0896 এরিয়া থেকে একটি রিবাউন্ডের আকারে ধীরে ধীরে দ্বিতীয় সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, এবং নতুন ট্রেডাররা এটির উপর ভিত্তি করে শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারে। দিনের শেষে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0856 লেভেলে পৌঁছাতে পারে, যেখানে ট্রেডাররা টেক প্রফিট সেট করতে পারে। বর্তমানে এই ধরনের মুভমেন্ট বেশ বিরল ঘটনা।

শুক্রবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

এক ঘন্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0678 লেভেলের মধ্য দিয়ে ব্রেক করে যেতে পারেনি, এবং গত সপ্তাহের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারের উপর একটি বিধ্বংসী প্রভাব ফেলেছিল। সুতরাং, ইউরোর দর বৃদ্ধি যৌক্তিক ছিল। এই ধরনের মুভমেন্ট সত্ত্বেও, এই পেয়ারের মূল্যের সামগ্রিক (নিম্নমুখী) প্রবণতা পরিবর্তিত হয়নি, কিন্তু ইউরো ঘন ঘন গত 7-8 মাস ধরে শক্তিশালী কারেকশনের সাথে ট্রেড করছে। আনুষ্ঠানিকভাবে, ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যেমনটি হায়ার টাইমফ্রেমে পরিলক্ষিত হয়েছে, তবে মধ্যমেয়াদে এই পেয়ারের দরপতনের প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ধীর গতিতে রয়েছে।

শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0838-1.0856 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারে। এই এরিয়া থেকে মূল্যের রিবাউন্ড এই পেয়ারের মূল্যের বৃদ্ধিকে উস্কে দিতে পারে, কিন্তু আজ খুব বেশি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত নিম্ন স্তরে ফিরে আসতে পারে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। শুক্রবারের জন্য, ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক এবং উৎপাদক মূল্য সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যেগুলোকে মাঝারি গুরুত্বসম্পন্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। মার্কিন সেশন চলাকালীন সময়ে ট্রেডাররা আরও বেশি সক্রিয়ভাবে ট্রেড করতে পারে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account