FX.co ★ GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ১৯ জুন। পাউন্ডের ট্রেডাররা যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন থেকে সমর্থনের জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছে

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। গত দুই দিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য 1.2691-1.2701-এর গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া উপেক্ষা করছে। এই এরিয়া এর আগে ব্রিটিশ মুদ্রকে একটানা কয়েক সপ্তাহের দরপতন থেকে রোধ করেছিল। যাইহোক, এটা প্রতীয়মান হয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা প্রযুক্তিগত সিগন্যাল, লেভেল, বা মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে না। আজ আমরা নিশ্চিত হতে পারব যে মার্কেটের ট্রেডাররা শেষ পর্যন্ত সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি মোটামুটি প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত কিনা, বা আনুষ্ঠানিক কারণে পাউন্ডের মূল্য আবার বাড়বে কিনা।

যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার মঙ্গলবার তেমন কিছু ছিল না, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় ভাল হতে দেখা গেছে, কিন্তু খুচরা বিক্রয় পরিসংখ্যান পূর্বাভাস অতিক্রম করতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনগুলি অনুসরণ করে ট্রেডিং কার্যকলাপে সামান্য বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছিল, কিন্তু সামগ্রিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার পরিমাণ ছিল মাত্র 50 পিপস। অতএব, এটা বলা কঠিন যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। যাইহোক, এটি আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন বুধবার প্রকাশ করা হবে এবং বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। হয় পাউন্ডের যৌক্তিক দরপতন শুরু হবে, অথবা পাউন্ডের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এমনকি একটি কারেকশনের মধ্যে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সুযোগ আছে, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি যদি প্রত্যাশার চেয়ে কম কমে যায়, তাহলে পাউন্ডের দাম বাড়বে।

মঙ্গলবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2691-1.2701 এর এরিয়ার নিচে কনসলিডেট হয় এবং নিচের দিকে অগ্রসর হতে ব্যর্থ হয় এবং তারপরে এটি এই এরিয়ার উপরে কনসলিডেট হয় এবং উপরের দিকে যেতে ব্যর্থ হয়। প্রথম ক্ষেত্রে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস দিয়ে ট্রেড ক্লোজ করা যেতে পারে, যখন দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, সম্ভবত সামান্য ক্ষতি হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, পাউন্ড খুব বিশৃঙ্খল পদ্ধতিতে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। এটা প্রায় সবগুলো টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে।

COT রিপোর্ট:

ব্রিটিশ পাউন্ডের COT রিপোর্টে দেখা গেছে যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট প্রায়শই পরিবর্তিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের প্রতিনিধিত্ব করে, ক্রমাগত একে অপরকে ছেদ করছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, শূন্য চিহ্নের কাছাকাছি রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুসারে, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপ 8,100টি বাই কন্ট্র্যাক্ট ওপেন করেছে এবং 700টি শর্ট কন্ট্র্যাক্ট ক্লোজ করেছে। ফলস্বরূপ, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন এক সপ্তাহে আরও 8,800 কন্ট্র্যাক্ট বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পাউন্ডের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।এইভাবে, বিক্রেতারা সবচেয়ে জটিল মুহূর্তে মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ দখল করতে ব্যর্থ হয়েছে।

মৌলিক পটভূমি এখনও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দীর্ঘমেয়াদী ক্রয়ের জন্য কোন ভিত্তি প্রদান করে না, এবং বিশ্বব্যাপী পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার একটি ভাল সুযোগ রয়েছে। যাইহোক, মূল্য ইতোমধ্যেই 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমের ট্রেন্ড লাইন অন্তত দুবার অতিক্রম করেছে। 1.2765 এর লেভেল বর্তমানে পাউন্ডের মূল্যকে আরও বাড়তে বাধা দিচ্ছে, তবে এটি করা বেশ কঠিন ছিল।

নন-কমার্শিয়াল গ্রুপের বর্তমানে মোট 110,300টি বাই কন্ট্র্যাক্ট এবং 58,200টি সেল কন্ট্র্যাক্ট রয়েছে। এই পেয়ারের ক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, কিন্তু COT রিপোর্ট বাদ দিয়ে, GBP/USD পেয়ারের সম্ভাব্য দর বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয় এমন আর কিছুই নেই।

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

1H চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নগামী মুভমেন্ট শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে যে এটি আগের প্রচেষ্টার মতোই দ্রুত সমাপ্ত হতে বাধ্য। এই পেয়ারের মূল্য 1.2691-1.2701 এরিয়ার উপরে কনসলিডেট হতে পারে, যার অর্থ এটি ইচিমোকু সূচক লাইনের দিকে বাড়তে থাকবে। আমরা এই লাইনের আশেপাশে একটি বিয়ারিশ রিভার্সালের আশা করতে পারি, তবে বুধ এবং বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পর্কে অনুমান করা অসম্ভব। এই পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে, এমনকি উপরের দিকে যেতে পারে।

19 জুন পর্যন্ত, আমরা ট্রেড করার জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি: 1.2215, 1.2269, 1.2349, 1.2429-1.2445, 1.2516, 1.2605-1.2620, 1.2691-1.2701, 1.2796, 1.2863, 1.2981-1.2987। সেনকৌ স্প্যান বি (1.2773) এবং কিজুন-সেন (1.2757) লাইনগুলোও সিগন্যালের উৎস হিসাবে কাজ করতে পারে। মূল্য 20 পিপস দ্বারা অভিপ্রেত দিকে চলে গেলে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করতে ভুলবেন না। ইচিমোকু ইন্ডিকেটর লাইনগুলি দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাই ট্রেডিং সিগন্যাল নির্ধারণ করার সময় এটি বিবেচনা করা উচিত।

বুধবার, মুলত যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর ট্রেডারদের দৃষ্টি থাকবে, এবং তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা অনুমান করা অসম্ভব। যাইহোক, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের খুব শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করছি না কারণ সাধারণত ট্রেডাররা যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতি অনেক বেশি দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখায়। তবুও, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কাছ থেকে কখন সুদের হার কমানোর আশা করা যেতে পারে সে সম্পর্কে এই প্রতিবেদনটি থেকে ধারণা পাওয়া যেতে পেতে পারে। যাইহোক, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট শুরু হবে এমন সম্ভাবনা কম।

চার্টের সূচকসমূহের বর্ণনা:

মূল্যের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হচ্ছে গাঢ় লাল লাইন, যার কাছাকাছি মুভমেন্ট শেষ হতে পারে। এগুলো ট্রেডিং সংকেত প্রদান করে না।

কিজুন-সেন এবং সেনকৌ স্প্যান বি লাইন হল ইচিমোকু সূচকের লাইন, যা 4-ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার চার্টে সরানো হয়েছে। এগুলো শক্তিশালী লাইন।

এক্সট্রিম লেভেল হল হালকা লাল লাইন যেখান থেকে মূল্য আগে বাউন্স করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল প্রদান করে।

হলুদ লাইন হল ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্য কোন প্রযুক্তিগত নিদর্শন।

COT চার্টে সূচক 1 প্রতিটি শ্রেণীর ট্রেডারদের নেট পজিশনের আকার প্রতিফলিত করে।

COT চার্টে সূচক 2 নন কমার্শিয়াল গ্রুপের নেট পজিশনের আকার প্রতিফলিত করে।