মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ছোটখাটো নিম্নগামী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে, যা খুবই নগণ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে এই পেয়ারের মূল্য বেড়েছে কারণ আরেকটি মার্কিন প্রতিবেদন JOLTs-এর ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে দুর্বল হয়ে উঠেছে। একই সাথে, একটি নতুন অ্যাসেন্ডীং ট্রেন্ড লাইন গঠিত হয়েছিল, একটানা তৃতীয় বা চতুর্থ ট্রেন্ড লাইন। মনে রাখবেন যে পূর্ববর্তী অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইনগুলো নির্দিষ্ট বিন্দুতে ব্রেক করেছিল, এবং... যেন কিছুই ঘটেনি এমনভাবে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট আবার শুরু হয়েছে। অতএব, ট্রেন্ড লাইনের নিচে একটি কনসলিডেশনও এই মুহূর্তে কাজ করছে না।
মার্কেটের ট্রেডাররা সাধারণত এমন সময় পাউন্ড কেনে যখন এর বিশেষ সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ থাকে। তবে ট্রেডাররা এখন এমন সময় পাউন্ড কিনছেন যখন এটি কেনার কোন কারণ নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা মৌলিক পটভূমির প্রতি আগ্রহী নয়। GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে আমরা 2024 সালের প্রথমার্ধেও একই ঘটনা দেখেছি।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি এবং অনিয়মিত মুভমেন্ট দেখিয়েছে। মূল্য 1.2791-1.2798 এরিয়া অতিক্রম করলে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে JOLTs রিপোর্ট প্রকাশের পর এগুলো ক্লোজ করা যেত, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে গেল যে ডলারের দাম আর বাড়বে না... সন্ধ্যা নাগাদ, এই পেয়ারের মূল্য 1.2791-1.2798 এরিয়ায় ফিরে এসেছে এবং আজ মূল্য এই এরিয়ার উপরে উঠতে পারে।
বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরির দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু বুলিশ কারেকশন অটুট রয়েছে। আমরা এই পেয়ারের মূল্যের সোমবারের মুভমেন্ট সম্পর্কে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন নই, যদিও একটিমাত্র প্রতিবেদনের প্রভাবে হঠাৎ করে ডলারের দরপতনের বিষয়টি কিছুটা অদ্ভুত বলে মনে হয়েছিল। যাইহোক, আমরা নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামষ্টিক প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশ করলেই ডলারের দাম কমে যায় না। যদি কোনও খবর না থাকে তবে এই পেয়ারের মূল্য কেবল স্থির থাকে।
বুধবার ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বাড়তে পারে, কারণ মার্কিন আইএসএম প্রতিবেদন এই সপ্তাহের ট্রেডিংয়ের পরিস্থিতি নির্ধারণ করেছে। আজকের ট্রেডিং সিগন্যাল 1.2791-1.2798 রেঞ্জের কাছাকাছি পাওয়া যাবে। এই এরিয়ার উপরে মূল্যের কনসলিডেশন হয়ে গেলে আপনি লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। সবকিছু নির্ভর করবে আসন্ন মার্কিন প্রতিবেদনের ওপর।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684, 1.2725, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980। আজ, যুক্তরাজ্যে পরিষেবা PMI প্রতিবেদন দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইএসএম পরিষেবা পিএমআই এবং এডিপি থেকে বেসরকারী খাতের কর্মসংস্থানে পরিবর্তন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।