logo

FX.co ★ GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ২৯ মে। পাউন্ডের মূল্য ক্রমাগত বাড়ছে এবং রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করছে

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ২৯ মে। পাউন্ডের মূল্য ক্রমাগত বাড়ছে এবং রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করছে

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ২৯ মে। পাউন্ডের মূল্য ক্রমাগত বাড়ছে এবং রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করছে

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য বাড়ছে, যা আর কাউকে খুব বেশি অবাক করছে না। কোনো আনুষ্ঠানিক কারণ ছাড়াই প্রায় প্রতিদিনই ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বাড়ছে। পূর্বে, মার্কেটের ট্রেডাররা যেসকল সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল ব্যবহার করত সেগুলো বুলিশ প্রবণতা ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য একাধিক উপায়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারত। এখন, মার্কেটের ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করার জন্য নতুন সামষ্টিক প্রতিবেদনের জন্যও অপেক্ষা করছে না। শুক্রবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রতিবেদন ডলারকে সমর্থন করেছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার, কোন প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট ছিল না। এই তিন দিনে, পাউন্ডের মূল্য অন্তত 100 পিপস বেড়েছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, পাউন্ডের মূল্য ডলারের বিপরীতে $1.50 এ পৌঁছাতে পারে। পাউন্ডের মূল্য বাড়ার কোন ভিত্তি প্রয়োজন না হলে সমস্যা কি?

মৌলিক পটভূমি বিশ্লেষণ করা (এমনকি যদি থেকেও থাকে) বর্তমানে অর্থহীন। এই পেয়ারের মূল্য এমন অযৌক্তিক ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে যে অনেক বিশ্লেষক এটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছেন। যখন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের কমানোর কথা বিবেচনাও করছে না এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড জুনের প্রথম দিকে সুদের কমানো শুরু করতে পারে, তখন মার্কেটে এই ধরনের অযৌক্তিক পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। পাউন্ড মূলত বিটকয়েনের মতো ট্রেড করছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য বাড়ছে কারণ মানুষ এটি ক্রয় করে। পাউন্ডের মূল্যও বাড়ছে কারণ মানুষ এটি কিনছে। কিন্তু কেন তারা কেনেন সেটা একটা বড় প্রশ্ন।

পাউন্ডের মূল্য কেন বাড়ছে তার উত্তর কোন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রিটিশ অর্থনীতি 2016 সাল থেকে সংগ্রাম করছে। ব্রেক্সিটের কারণে, দেশটির অর্থনীতি ইতোমধ্যে 150 বিলিয়ন পাউন্ড হারিয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির কর সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় নেই বললেই চলে। ঋষি সুনাকের সরকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে ব্যর্থ হয়েছে। জুলাই মাসে নতুন সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যার পরে সম্ভবত লেবার পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, কনজারভেটিভ নয়। ব্রিটিশ জনগণ বরিস জনসন, লিজ ট্রাস এবং ঋষি সুনাকের কার্যকালের পরে রক্ষণশীল নেতাদের প্রতি সম্পূর্ণরূপে মোহভঙ্গ হয়ে পড়েছে। সহজ কথায়, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে, তাই ব্রিটিশরা আসন্ন নির্বাচনে কনজারভেটিভ ছাড়া অন্য যে কাউকে ভোট দিতে প্রস্তুত।

ক্ষমতার পরিবর্তন অনিবার্যভাবে নতুন সংস্কারের দিকে নিয়ে যাবে, সম্ভবত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গতিপথের পরিবর্তন ঘটবে। বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই বলছেন যে দেশটির সরকারের কাছে তিনটি বিকল্প রয়েছে, যার কোনোটিকেই সুখকর বলে মনে করা যায় না। হয় জাতীয় ঋণ বাড়ান, কর আরও বাড়ান, অথবা সরকারি খরচ কমিয়ে দিন। এই মৌলিক পটভূমির পরিপ্রেক্ষিতে, পাউন্ডের মূল্য কীভাবে বৃদ্ধি পায় তা এখনও স্পষ্ট নয়।

প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, 4-ঘন্টার টাইমফ্রেমে পাউন্ড বিক্রি করার কোন কারণ নেই। কিন্তু বিষয় হল যে হায়ার টাইমফ্রেম না দেখাই ভাল। উদাহরণস্বরূপ, দৈনিক চার্টে প্রযুক্তিগত চিত্রটি এত বিশৃঙ্খল যে চলমান প্রবণতা কী তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। সাধারণভাবে, পাউন্ড কোন "কারণে" নয় বরং "সবকিছু সত্ত্বেও" ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ট্রেড চালিয়ে যাচ্ছে।

GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ২৯ মে। পাউন্ডের মূল্য ক্রমাগত বাড়ছে এবং রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করছে

গত ৫ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা হল 52 পিপস। এটি এই পেয়ারের জন্য নিম্ন হিসাবে বিবেচিত হয়। অতএব, আমরা আশা করি যে এই পেয়ার 1.2722 এবং 1.2826 লেভেল দ্বারা আবদ্ধ একটি রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করবে। দীর্ঘমেয়াদী লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিচের দিকে যাচ্ছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সিসিআই সূচকটি এপ্রিল মাসে তিনবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে এবং ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বেড়েছে। যাইহোক, এই কারেকশন অনেক আগেই শেষ হওয়া উচিত ছিল।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:

S1 - 1.2756

S2 - 1.2695

S3 - 1.2634

নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:

R1 - 1.2817

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

GBP/USD পেয়ারের মূল্য সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রেখেছে। যাইহোক, আমরা এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট দেখা যাবে বলে আশা করছি, তবে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের বর্তমান অযৌক্তিক বৃদ্ধি আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে দেখতে হতে পারে। যখন মূল্য নিচের সীমানা দিয়ে সাইডওয়েজ চ্যানেল থেকে বেরিয়ে যায় তখন ব্রিটিশ পাউন্ড কেনা প্রাসঙ্গিক নয়। বর্তমানে, আপনি এই পেয়ার বিক্রি করার কথা বিবেচনা করার আগে মুভিং এভারেজের নিচে দৃঢ়ভাবে মূল্যের কনসলিডেশন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদি আমরা শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে এবং শুধুমাত্র 4-ঘণ্টার টাইমফ্রেমের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার কথা বিবেচনা করি, তাহলে 1.2817 এবং 1.2826-এর লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন প্রাসঙ্গিক হবে।

চিত্রের ব্যাখা:

  • লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
  • মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
  • মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
  • অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
  • সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।
* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account