সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার জুড়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্য স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেলের কাছাকাছি মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে। বিক্রেতাদের এই মুহূর্তে একটি কারেকশন শুরু করার শক্তির অভাব রয়েছে, তাই এই পেয়ারের মূল্য 1.0888 লেভেলের সামান্য নিচে সাইডয়ওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উভয় কোন গুরুত্বপূর্ণ বা এমনকি গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন ইভেন্টও নেই। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ছিল প্রায় 30 পিপস, যা প্রমাণ করে যে বিশ্লেষণ করার মতো কিছুই ছিল না।
ইউরোর মূল্য প্রায়শই কোনো কারণ বা ভিত্তি ছাড়াই বাড়তে থাকে। মনে রাখবেন যে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক আগামী মাসে প্রথমবারের মতো সুদের হার কমাতে যাচ্ছে বলে নির্ধারিত হয়েছে, তাই ইউরোর মূল্য নিম্নমুখী হওয়া এবং দরপতন শুরু হওয়া উচিত ছিল। ইসিবির সুদের হার ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের চেয়ে 1% কম, এবং জুনের পর থেকে এই ব্যবধান আরও বিস্তৃত হবে। অতএব, আমরা এখনও মনে করি যে এই পেয়ারের তীব্র দরপতন হওয়া উচিত এবং এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হওয়া উচিত। যাইহোক, ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে, যা এখনও একটি কারেকশন হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে এবং এটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে। প্রবণতার পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে কোন প্রযুক্তিগত সংকেত নেই।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিং সিগন্যাল মূল্যায়ন করার কোন মানে নেই। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বেশ কম ছিল, এবং এই পেয়ারের মূল্য কার্যত সারাদিন সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করায় সিগন্যাল খোঁজাও কার্যকর ছিল না। যাইহোক, মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, পেয়ারটির মূল্য 1.0856 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, কিন্তু মূল্য 10 পিপস পর্যন্ত বাড়েনি। আবারও, আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিব যে যদি মার্কেটে কোন মুভমেন্ট না হয়, তাহলে কোন ট্রেডিং সিগন্যাল লাভ আনতে পারবে না।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘন্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা ক্রমবর্ধমানভাবে একটি স্বাধীন প্রবণতার অনুরূপ। আমরা মনে করি যে মধ্য মেয়াদে আবার এই পেয়ারের দরপতন শুরু হওয়া উচিত, কারণ ইউরো ব্যয়বহুল রয়েছে এবং সামগ্রিক প্রবণতা নিম্নগামী। তবে কোন একটি অজানা কারণে মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার কিনতে রাজি হচ্ছে না। সম্ভবত আমরা একটি নতুন শক্তিশালী নিম্নগামী প্রবণতার কাছাকাছি আছি।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0838-1.0856 এবং 1.0888-1.0896 এর এরিয়ার আশেপাশে সিগন্যাল খুঁজতে পারেন। এগুলো মোটামুটি শক্তিশালী এরিয়া যা বাই এবং সেল উভয় সিগন্যাল তৈরি করতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0725-1.0733, 1.0785-1.0797, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউতে কোনও উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই, তাই আমরা সম্ভবত আরেকটি বিরক্তিকর দিনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।