logo

FX.co ★ GBP/USD। ১৫ই মে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনে ডলারের ক্ষতির কারণ হতে পারে

GBP/USD। ১৫ই মে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনে ডলারের ক্ষতির কারণ হতে পারে

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য মঙ্গলবার 1.2517 থেকে দুবার রিবাউন্ড করেছে এবং 1.2611-এর দিকে তার ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু করেছে। এই লেভেলগুলো থেকে একটি রিবাউন্ড মার্কিন মুদ্রার পক্ষে কাজ করবে এবং 1.2517 এর দিকে কিছুটা দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। এই পেয়ারের মূল্য 1.2611 লেভেলে উপরে থাকলে সেটি পরবর্তী ফিবোনাচি লেভেল 23.6%—1.2690 এর দিকে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।

GBP/USD। ১৫ই মে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনে ডলারের ক্ষতির কারণ হতে পারে

ওয়েভ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। শেষ ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ 3রা মে পূর্ববর্তী ওয়েভের শীর্ষকে অতিক্রম না করেই শেষ হয়েছিল এবং নতুন নিম্নমুখী ওয়েভ সম্ভবত 22 এপ্রিল থেকে গঠিত নিম্নমুখী ওয়েভ না ব্রেক করে ইতোমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে৷ এইভাবে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের "বিয়ারিশ" (অদ্ভুত শোনাতে পারে) প্রবণতার সমাপ্তির শুধুমাত্র একটি সন্দেহজনক সংকেত রয়েছে। 9 মে থেকে শুরু হওয়া নতুন ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ যদি 3রা মে থেকে গঠিত ওয়েভের সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে "বিয়ারিশ" প্রবণতার সমাপ্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তবে, নতুন ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভটিও বেশ দুর্বল হতে পারে। সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে।

যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব এবং মজুরি সম্পর্কিত গতকালের প্রতিবেদনগুলো শেষ পর্যন্ত পাউন্ডের দর বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। এছাড়াও, মার্কিন প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স থেকে এই পেয়ারের ক্রেতাদের জন্য সমর্থন পাওয়া গিয়েছিল, যা প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় এটি বেশ পরস্পরবিরোধী বলে প্রমাণিত হয়েছিল। আজ, মার্কিন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, যেখান থেকে ট্রেডাররা সামান্য মন্দার আশা করছেন। এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি কমে গেলে জেরোম পাওয়েল নতুন অবস্থান ধারণ করতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা মনে করতে পারে যে 2024 সালে মুদ্রাস্ফীতি মুদ্রাস্ফীতি আবার মন্থর হতে শুরু করবে এবং ফেড সুদের হার কমানো শুরু করবে। এটি এই পেয়ারের বিক্রেতাদের জন্য খারাপ খবর, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহ এবং মাসগুলিতে বাজারে তাদের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহের প্রযুক্তিগত পরিস্থিতির পরিবর্তন করার জন্য তাদের সামষ্টিক প্রতিবেদনগত দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী পটভূমি প্রয়োজন। এছাড়াও, ক্রেতাদের স্যাচুরেশন এবং বাজার থেকে তাদের প্রত্যাহারের মাধ্যমে ডলার সাহায্য পেতে পারে।

GBP/USD। ১৫ই মে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনে ডলারের ক্ষতির কারণ হতে পারে

4-ঘণ্টার চার্টে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2450 এর লেভেল থেকে রিবাউন্ড করেছে, যা 1.2620 লেভেলের দিকে আরও দর বৃদ্ধির উপর আশা করার সুযোগ দেয়। মার্কেটে ট্রেডারদের কার্যকলাপ বেশ কম, এবং আমার পক্ষে এমন সামষ্টিক পটভূমি কল্পনা করা কঠিন যা ক্রেতাদেরকে সমর্থন করতে থাকবে। যাইহোক, এটা অস্বীকার করা যাবে না যে পাউন্ডের মূল্য বাড়তে পারে কারণ মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ড চ্যানেল থেকে বেরিয়ে এসেছে। এই পেয়ারের মূল্য 1.2620 এর লেভেলের উপরে থাকলে সেটি 61.8%-1.2745 এর পরবর্তী ফিবোনাচি লেভেলের দিকে পাউন্ডের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।

কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (সিওটি) রিপোর্ট:

GBP/USD। ১৫ই মে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনে ডলারের ক্ষতির কারণ হতে পারে

গত সপ্তাহের রিপোর্ট অনুযায়ী "নন-কমার্শিয়াল" ট্রেডার্স গ্রুপের সেন্টিমেন্ট কম "বিয়ারিশ" হয়ে উঠেছে। স্পেকুলেটরদের হাতে লং কন্ট্র্যাক্টের সংখ্যা 8109 ইউনিট বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে শর্ট কনট্র্যাক্টের সংখ্যা 932 বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধান ট্রেডারদের সামগ্রিক সেন্টিমেন্ট পরিবর্তিত হয়েছে, এবং এখন বিয়ারিশ মার্কেটে তাদের নিয়ন্ত্রণ নির্দেশ করছে। লং এবং শর্ট কন্ট্র্যাক্টের মধ্যে ব্যবধান 22 হাজার: 51 হাজার বনাম 73 হাজার।

ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা রয়ে গেছে। গত তিন মাসে লং কন্ট্রাক্টের সংখ্যা 83 হাজার থেকে কমে 51 হাজারে এবং শর্ট কন্ট্যাক্টের সংখ্যা 49 হাজার থেকে বেড়ে 73 হাজারে দাঁড়িয়েছে। সময়ের সাথে সাথে, ক্রেতাদের বাই পজিশন বা সেল পজিশন বাড়তে থাকবে, কারণ ব্রিটিশ পাউন্ড কেনার সমস্ত সম্ভাব্য কারণ ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বিয়ার বা বিক্রেতারা তাদের দুর্বলতা এবং রক্ষণাত্নক মনোভাব বজায় সম্পূর্ণ অনিচ্ছা প্রদর্শন করেছে, কিন্তু আমি এখনও আশা করি ব্রিটিশ পাউন্ডের শক্তিশালী দরপতন শুরু হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নিউজ ক্যালেন্ডার:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – ভোক্তা মূল্য সূচক (12:30 UTC)।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – খুচরা বিক্রয়ের পরিমাণে পরিবর্তন (12:30 UTC)।

বুধবারের অর্থনৈতিক ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে মাত্র দুটি ইভেন্ট রয়েছে, কিন্তু দুটিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দিনের বাকি অংশে মার্কেট সেন্টিমেন্টে প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটের প্রভাব মাঝারি থাকবে।

GBP/USD পেয়ারের পূর্বাভাস এবং ট্রেডারদের জন্য পরামর্শ:

1.2611 বা 1.2620 লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে পাউন্ড বিক্রয় করা সম্ভব, যেখানে মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা 1.2517 এবং 1.2464 এর লেভেল। 1.2517 এবং 1.2565 এর লক্ষ্যমাত্রায় এক ঘন্টার চার্টে 1.2464 থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে এই পেতার কেনার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। দুটি লক্ষ্যমাত্রায়ই এই পেয়ারের মূল্য পৌঁছেছে। 1.2611 এবং 1.2690-এর লক্ষ্যমাত্রায় 1.2565 লেভেলে উপরে এই পেয়ার ক্লোজিং হওয়ার সময় এই পেয়ারে নতুন করে কেনা যায়। এই ট্রেডগুলো প্রথম লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছানো পর্যন্ত ওপেন করে রাখা যেতে পারে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account