মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
গতকাল, EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0785 এর লেভেল অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে, তৃতীয়বারের মতো মূল্য এই লেভেল থেকে বাউন্স করেছে। ফলস্বরূপ, প্রত্যাশিতভাবে ইউরোর দরপতন শুরু হয়েছে, মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিম্ন সীমানার দিকে যাচ্ছে, যা এখনও প্রাসঙ্গিক। মনে রাখবেন যে সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট, যা এখন তিন সপ্তাহ ধরে চলমান রয়েছে, মূলত একটি কারেকশন, যা হায়ার টাইম ফ্রেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। অতএব, আমরা আশা করি এই কারেকটিভ ফেজ শেষ হবে এবং ইউরোর নতুন দরপতন শুরু হবে।
মঙ্গলবার কোন উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক ইভেন্ট ছিল না। ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যেটির ফলাফল +0.8% এসেছে, যা পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য বেশি। যাইহোক, এই প্রতিবেদনের ফলাফল বাজারে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি। অথবা যদি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েও থাকে, তবে সেটি এতটাই দুর্বল ছিল যে এটি খুব কমই লক্ষ্য করা যায়। সারা দিন ধরে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্ন মাত্রার অস্থিরতা অব্যাহত ছিল, এবং শুধুমাত্র দিনের শেষের দিকে এই পেয়ারের দরপতন হতে শুরু করে, যা একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা করতে পারে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে শুধুমাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময়, মূল্য 1.0785 এর লেভেল থেকে বাউন্স করে, যা ব্যবহার করে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারে। ইউরোর দরপতন অব্যাহত রয়েছে এবং আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকতে পারে। অতএব, বিনিয়োগকারীরা এই ট্রেডটি ওপেন রাখতে পারেন, অন্তত যতক্ষণ না মূল্য 1.0733-এর লেভেলে পৌঁছায়। যদি এই ইতোমধ্যে ক্লোজ করা হয়ে থাকে, তবে এখনও লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের কারেকটিভ ফেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা মনে করি যে মধ্যমেয়াদে আবার এই পেয়ারের দরপতন শুরু হওয়া উচিত, কারণ ইউরোর মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি রয়েছে এবং সাধারণভাবে, বিশ্বব্যাপী প্রবণতা ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। মৌলিক পটভূমি এখনও মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করছে, এবং FOMC-এর সর্বশেষ সভাও মার্কিন ডলারকে সমর্থন করছে - পাওয়েল এখনও জানেন না যে কখন আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ শুরু হবে।
বুধবার, শর্ট পজিশন বজায় রাখা যুক্তিসঙ্গত হবে, কারণ মঙ্গলবার মূল্য 1.0785-1.0797 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড হয়েছে, এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। চ্যানেল এবং 1.0725-1.0733 এরিয়ার নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হলে ট্রেডাররা এই পেয়ার বিক্রি করার কথা বিবেচনা করতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0725-1.0733, 1.0785-1.0797, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। আজ, জার্মান শিল্প উত্পাদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা গতকালের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের তুলনায়ও বাজারে কম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা এবং দুর্বল মুভমেন্টের আশা করছি।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।