logo

FX.co ★ ২ এপ্রিলের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

২ এপ্রিলের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

২ এপ্রিলের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

মঙ্গলবারের জন্য নির্ধারিত বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে। যাইহোক, সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ আইএসএম ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই প্রকাশিত হয়েছিল, যার প্রভাবে উভয় কারেন্সি পেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছিল। মঙ্গলবার, দুটির বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তাই আজ, আমরা জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জব ওপেনিং সংক্রান্ত JOLT-এর রিপোর্টের দিকে দৃষ্টি রাখব। প্রথম প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি 2.2% এ নেমে আসতে পারে। ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে 2.6% এ রয়েছে, কিন্তু জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেলে ইইউ-এর মুদ্রাস্ফীতিও কমতে থাকবে। ইইউ-এর মুদ্রাস্ফীতি আরও কমে গেলে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রথমবারের মতো সুদের হার কমাতে পারে। অতএব, এই প্রতিবেদনটির প্রভাবে ইউরোর নতুন দরপতন ঘটতে পারে, যা সম্পূর্ণ যৌক্তিক হবে। JOLTs রিপোর্ট সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল ডলারকে সমর্থন করবে, যখন দুর্বল ফলাফল দেখা গেলে সেটি ইউরো এবং পাউন্ডকে সমর্থন করবে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

২ এপ্রিলের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে, আমরা ফেডারেল রিজার্ভ প্রতিনিধি মিশেল বোম্যান, লরেটা মেস্টার এবং মেরি ডালির বক্তৃতার কথা তুলে ধরব৷ এই কর্মকর্তারা সম্ভবত হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন, তাই ডলারের দর আজ বাড়তে পারে। অধিকন্তু, এটি অসম্ভব যে তাদের বক্তৃতার প্রভাবেই ডলারের মূল্য বাড়বে। বরং, তাদের বক্তব্য সামগ্রিক মৌলিক পটভূমিকে প্রভাবিত করবে - মার্কেটের ট্রেডাররা এ বিষয়ে আরও বেশি নিশ্চিত হয়ে উঠবে যে ফেড অদূর ভবিষ্যতে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ শুরু করার পরিকল্পনা করছে না।

উপসংহার:

মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট রয়েছে। নতুন ট্রেডারদের জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির তথ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের JOLT-এর পরিসংখ্যানের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। এই প্রতিবেদনগুলো ISM সূচকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে সেগুলো এখনও উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। এবং আমরা আশা করি যে উভয় ইন্সট্রুমেন্টের মূল্য আরও কমবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account