সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মোটামুটি শালীন নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, এটি মার্কেটে পাউন্ড বিক্রির প্রবণতা দ্বারা চালিত হয়নি, বরং শক্তিশালী মার্কিন আইএসএম প্রতিবেদনের প্রভাবে হয়েছিল। মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার কেনা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তবুও, এটি একটি ভাল জিনিস যে ডলারের দর বেড়েছে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা পূর্বে একাধিক ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের জন্য ইতিবাচক সামষ্টিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করেছে। অতএব, যদিও এই পেয়ারের মূল্য আবারও ডিসেন্ডিং চ্যানেলের বাইরে চলে গেছে, তবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। আমরা গত সপ্তাহে উল্লেখ করেছি যে যতক্ষণ এই পেয়ার ফ্ল্যাট থাকে এবং সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করে, ততক্ষণ কোনো টেকনিক্যাল সিগন্যাল বিবেচনা বা কার্যকর করা যাবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সোমবার আবার এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। এবং সপ্তাহের শেষ দিনগুলিতে, যদি শেষ পর্যন্ত 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে মার্কেটে ফ্ল্যাট ফেজ শেষ হয়, এবং যদি মার্কিন প্রতিবেদনগুলো শক্তিশালী হয় তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে মূল্য 1.2605-1.2611 রেঞ্জের নিচে নেমে গেছে, যা ইঙ্গিত করে যে শর্ট পজিশন ওপেন করা উচিত ছিল। দিনের শেষে, 1.2541-এর লেভেল টেস্ট করা হয়েছিল, যেখান থেকে মূল্য সঠিকভাবে বাউন্স করেছে। সেসময়, শর্ট পজিশন ক্লোজ করা উচিত ছিল। এই ট্রেড থেকে লাভের পরিমাণ ছিল প্রায় 50 পিপস।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
এক ঘন্টার চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটের ট্রেডাররা সর্বদা যৌক্তিক পদ্ধতিতে ট্রেড করে না, এবং বিশ্বব্যাপী, এই পেয়ারের বাজার পরিস্থিতি এখনও ফ্ল্যাটের মতো মনে হচ্ছে। সোমবার, প্রত্যাশা অনুযায়ী ডলার শক্তিশালী হয়েছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে এটি সর্বদা হবে। এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনও বেশ বিশৃঙ্খল রয়ে গেছে, এবং ফ্ল্যাট মার্কেটের 4 মাস পরে একদিনের পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে না।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা রেফারেন্স পয়েন্ট হিসাবে 1.2541 এর লেভেল ব্যবহার করতে পারেন। এই মুহূর্তে, এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেল থেকে বাউন্স করেছে, যা এই ইঙ্গিত দেয় যে সকালে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে (যদি পরিস্থিতির পরিবর্তন না হয়)। যদি মূল্য এই লেভেল অতিক্রম করে, তাহলে আপনি নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারেন।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। মঙ্গলবার, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য জব ওপেনিং সংক্রান্ত JOLT-এর প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরব। এটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ সূচক নয়, তবে তারপরও মার্কেটের ট্রেডাররা এটিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং কারেক্টিভ মুভমেন্ট শুরু হতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।