logo

FX.co ★ GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১২ মার্চ: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১২ মার্চ: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১২ মার্চ: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য নিম্নগামী সংশোধনের সম্মুখীন হয়েছে। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী চ্যানেল ছেড়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। এখন আমাদের কাছে একটি সুস্পষ্ট সেল সিগন্যাল রয়েছে, কিন্তু আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে আজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন মধ্যে অন্যতম একটি মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তিটি সহজ: যদি মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয় তবে এটি ডলারকে সমর্থন করবে। বিশেষ করে প্রায় পুরো এক মাস ধরে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই মার্কিন গ্রিনব্যাকের দর কমে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে কম হলে ডলারের মূল্য আরও কমতে পারে। মনে রাখবেন যে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে এবং বাজারের ট্রেডাররা তাদের খুশি মত সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমিকে ব্যাখ্যা করতে পারে। যাইহোক, আমাদের কাছে এখনও এটি আশা করার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে যে পাউন্ড অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং এটির মূল্য আবারও কমে যাবে।

সোমবার, কোন আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল না. এই পেয়ারের দরপতন সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তিগত এবং সংশোধনমূলক ছিল।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১২ মার্চ: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.2848-1.2860 এর এরিয়া থেকে দুবার বাউন্স করেছে। প্রথম ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য 20 পিপসও কমেনি, তাই দ্বিতীয় সিগন্যাল তৈরি হওয়ার সময়, নতুন ট্রেডাররা কেবল শর্ট পজিশন ওপেন করে থাকতে পারে। অবশেষে, মূল্য কমতে শুরু করে, এবং দিনের শেষে, এটি 1.2787-1.2791 এর এরিয়ার কাছাকাছি নেমে যায়, যেখানে এটি স্থির অবস্থান গ্রহণ ছিল। এইভাবে, সন্ধ্যায় ম্যানুয়ালি শর্ট পজিশন ক্লোজ করা উচিত ছিল। এই ট্রেড থেকে লাভের পরিমাণ ছিল প্রায় 30 পিপস।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও এর জন্য কোনো মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি নেই। এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেলের নীচে কনসলিডেট হয়েছে, কিন্তু মূল্যের পরবর্তী মুভমেন্ট মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির তথ্যের উপর নির্ভর করবে। ডলার অত্যধিক বিক্রি হয়েছে, যখন পাউন্ড অতিরিক্ত কেনা হয়েছে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্য বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। বেকারত্বের হার এবং বেকারত্ব সুবিধার আবেদন বাজারের প্রতিক্রিয়াকে উস্কে দিতে পারে, তবে শুধুমাত্র পূর্বাভাসের থেকে প্রকৃত ফলাফলের উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতির ক্ষেত্রে। মজুরি প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে এটি মুদ্রাস্ফীতির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, কারণ তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা বারবার এই কথা উল্লেখ করেছেন। অতএব, আপনার এটির দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত। আজকের আলোচ্যসূচির মূল বিষয় হল মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account